জনগণ ফ্যাসিবাদ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়;ড. রেজাউল করিম
হাফসা আক্তার : দেশপ্রেমী ছাত্র-জনতা পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদীদের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী যেকোন অপতৎপরতা কোন ভাবেই মেনে নেবে না বরং ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ রাজধানী মিরপুরের ১০ নং গোল চত্তরে পল্লবী জোন জামায়াত আয়োজিত কার্যক্রম স্থগিত ঘোষিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জোন পরিচালক ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগরী উত্তর মজলিসে শূরা সদস্য ও পল্লবী দক্ষিণ থানা আমীর আশরাফুল আলম, রূপনগর থানা আমীর মো. আবু হানিফ ও পল্লবী উত্তর থানা আমীর জনাব সাইফুল কাদের প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রু। তারা ২০০৮ সালে পাতানো ও সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় বাকশালীরা জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে পর পর ৩ টি তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নবায়ন করে নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর অপশাসন-দুঃশাসন চালিয়েছে। সে সময় দেশে কোন আইনের শাসন ছিল না। রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের জন্য নির্মম দলন-পীড়ন চালানো হয়েছে। কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে জাতীয় নেতৃত্বকে হত্যা করে দেশের পবিত্র জমিনকে রক্তাক্ত ও কলক্সিক্ষত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি বরং ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে দমন করার জন্য পতিত স্বৈরাচারীরা সারাদেশে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে। এজন্য প্রাণ দিতে হয়েছে প্রায় ২ হাজার মানুষকে। হাজার হাজার মানুষ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণহত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। রায়ও প্রায় কাছাকাছি এসেছে। কিন্তু স্বৈরাচারীরা সে বিচার ভণ্ডুল করার জন্য কথিত লকডাউনের নামে সারাদেশেই ব্যাপক নাশকতার ছক এঁকেছে। কিন্তু সচেতন জনতা তাদের সে ষড়যন্ত্র কোনভাবেই বাস্তবায়ন হতে দেবে। জনগণ ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। বাংলার মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদী অপতৎপরতার স্থান হবে না। তিনি মাফিতন্ত্রীদের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ময়দানে আপোষহীন থাকার আহবান জানান।
*মগবাজার বিশাল সেন্টারের সামনে অবস্থান*
মগবাজার বিশাল সেন্টারের সামনে কার্যক্রম স্থগিত ঘোষিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে হাতিরঝিল জোন জামায়াত। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও হাতিরঝিল অঞ্চল পরিচালক হেমায়েত হোসেনের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও তেজগাঁও দক্ষিণ থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার নো’মান আহমেদী, হাতিরঝিল পূর্ব থানা আমীর অ্যাডভোকেট শেখ জিল্লুর রহমান আজমী, তেজগাঁও উত্তর থানা আমীর হাফেজ আহসান উল্লাহ, শেরে বাংলা দক্ষিণ থানা আমীর আবু সাঈদ মণ্ডল, শিল্পাঞ্চল থানা আমীর কলিম উল্লাহ, হাতিরঝিল পশ্চিমের ভারপ্রাপ্ত আমীর নূরুল ইসলাম আকন্দ, হাতিরঝিল পূর্ব থানা সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমিন ও হাতিরঝিল পশ্চিম থানা সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম প্রমূখ।
*বিএনএস সেন্টার উত্তরা*
উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে জামায়াতের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, উত্তরা পূর্ব থানা আমীর মাহফুজুর রহমান, উত্তরা পশ্চিম থানা আমীর মাজহারুল ইসলাম, তুরাগ মধ্য থানা আমীর গাজী মনির হোসাইন, তুরাগ দক্ষিণ থানা আমীর আবু বকর সিদ্দিক, উত্তরখান পূর্ব থানা আমীর ইসরাইল হোসেন, দক্ষিণ খান পূর্ব থানা আমীর আবু সাঈদ ও জামায়াত নেতা কামরুল হাসান প্রমূখ।