চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় বন্য হাতির আক্রমণে তিন জন নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কধুরখীল, সৈয়দনগর ও জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকায় পৃথক আক্রমণের ঘটনা ঘটে। বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন, কধুরখীল এলাকার আবু তাহের মিস্ত্রি (৬৫), চান্দেরহাট এলাকার জাকের হোসাইন (৬৫) ও খরনদ্বীপ কুমারপাড়া এলাকার আবদুল মাবুদ (৬০)।
ওসি বলেন, ‘হাতির পালটি শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে পাহাড় থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। শনিবার সারাদিন শস্যক্ষেত নষ্ট করার পর রবিবার সকালে পাহাড়ে যাওয়ার পথে আক্রমণ করে। এতে দু’জন ঘটনাস্থলে মারা যায়। অন্যজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সকালে আবু তাহের মিস্ত্রি কধুরখীল তৈয়্যবিয়া তাহেরীয়া সুলতান মোস্তফা কমপ্লেক্সের পূর্বপাশে শরিফ পাড়া এলাকায় ক্ষেতে কাজ করার সময় ৪/৫টি হাতি তার ওপর আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সকালে চাঁন্দারহাট জামে মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জাকের হোসাইনকে হাতির পাল আক্রমণ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাতির পাল পাহাড়ের দিকে যাওয়ার পথে শ্রীপুর খরনদ্বীপ এলাকায় আবদুল মাবুদকে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
শ্রীপুর খরনদ্বীপ ইউনিয়নের সদস্য মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, শনিবার ভোরে বাচ্চাসহ ৯টি হাতি জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসে। দিনভর হাতিগুলো পূর্ব কধুরখীল বায়তুল জামে মসজিদের সুপারি বাগানে অবস্থান নেয়। রবিবার সকালে দুভাগে বিভক্ত হয়ে একদল কধুরখীল-চরণদ্বীপের দিকে যায়। অন্যদল খরনদ্বীপ হয়ে পাহাড়ের দিকে যাওয়ার পথে মানুষের ওপর আক্রমণ করে।