বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

৩ ডিসেম্বর রাজীবের মামলার প্রতিবেদন

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২১১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদক ও অস্ত্র আইনে করা মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করে এক সপ্তাহের সময় চান। ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে প্রতিবেদন দাখিলে নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৯ নভেম্বর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে র‌্যাব। এদিন ভাটারা থানার মাদক আইনে করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগরে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্মকর্তা র‌্যাব-২ এর উপ-পরিদর্শক প্রণয় কুমার প্রামাণিক। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

১৫ নভেম্বর ভাটারা থানার মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১১ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৪ নভেম্বর অস্ত্র ও মাদক মামলায় রিমান্ড শেষে কাউন্সিলর রাজীবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

গত ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মাদক মামলায় সাত দিন ও অস্ত্র মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন রাতে তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর ডিএডি মিজানুর রহমান।

এর আগে ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা রাজীবকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এসময় ওই বাসা থেকে সাতটি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

২০১৫ সালে ডিএনসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে দৃশ্যমান কোনো ব্যবসাই ছিল না মোহাম্মদপুরের তারেকুজ্জামান রাজীবের। বর্তমানেও কাউন্সিলর হিসেবে সরকারি সম্মানীর বাইরে কোনো আয়ের উৎস নেই তার। তবুও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন স্বঘোষিত ‘জনতার কাউন্সিলর’ রাজীব।

২০১৫ সালে কাউন্সিলর নির্বাচনে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় প্রার্থী ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারিয়ে নির্বাচিত হন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com