নিজস্ব প্রতিবেদক: ধানের শীষের পক্ষে সৃষ্ট গণজোয়ার ঠেকাতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সবাইকে দলবেঁধে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনী প্রচারণার ১৫তম দিনে মহানগরীর ৪৬নং ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ (জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম) মাদ্রাসায় জুমার নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘দুঃশাসনের বিরুদ্ধে চারদিকে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই জনস্রোত দেখে নির্বাচন এবং বিএনপির বিজয়কে বানচাল করাতে যে অপচেষ্টা হচ্ছে সেটা কখনোই সফল হবে না।’
প্রতিপক্ষ বলছেন ঢাকার উন্নয়নে আপনার কোনো পরিকল্পনা নেই- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিদিনকার বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিপক্ষ বিন্দুমাত্র ধারণা রাখে না। কারণ আমি প্রতিদিনই ঢাকাবাসীর সমস্যা নিয়ে কথা বলছি। সমন্বয়হীনতা, নগর সরকার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধনসহ নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরে এর সমাধানের পরিকল্পনার কথাও বলে আসছি। কিন্তু তারা হয়তো এগুলো শুনছে না। কারণ তারাতো ব্যর্থ। গত ১৩ বছরে ঢাকাসহ বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। তাই তারা আগামীতেও কোনো কিছু করতে পারবে না, কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না। এ কারণে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে ভোট চুরি করে আসবে। তখন আর জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা থাকবে না, জবাবদিহিতা থাকবে না। কারণ জবাবটা কাকে দেবে? ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে শুধু সাদেক হোসেন খোকাই নন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোও দেশে মৃত্যুবরণ করতে পারেননি। তিনি মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। ওনার পরিবারের দুঃখটা আমি খুব ভালো করে বুঝি। কারণ আমার বাবাও একই ধরনের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ওনাকেও বিরোধী দলের রাজনীতি করার কারণে এই বাংলাদেশে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে দেয়া হয়নি। তবে এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। জনগণ সব দেখছেন, মহান আল্লাহতালা এগুলো দেখছেন। আল্লাহ যথাসময়ে এর বিচার করবেন।’
নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো নোটিশ পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এমন ধরনের কোনো নোটিশ পাইনি।’
ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, ‘আমি আমার বাবার রাজনৈতিক আদর্শকে মনে-প্রাণে ধারণ করি। আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশে বসবাস করি। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করি। দীর্ঘকাল ধরে এই এলাকায় আমরা হিন্দু-মুসলমান একসাথে বসবাস করে আসছি। এই জায়গায় আমরা কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে স্থান দিইনি, আগামীতেও দেবো না।’
প্রচারণা অংশ নিতে সকাল থেকেই দলীয় কর্মী সমর্থকরা বাংলা বাজার ও ফরিদাবাদ এলাকায় জড়ো হন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, এসএম জিলানিসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী গণসংযোগে অংশ নেন।