ঢাকা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার হাসপাতালে একটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা।
রোববার (১২ এপ্রিল) বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের এক পর্যায়ে নড়াইল জেলার সঙ্গে কথা বলার সময়ে এ দাবি জানান মাশরাফি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নড়াইলে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি নড়াইলের এমপি ছিলেন, আছেন, থাকবেন (নড়াইল-২ সংসদীয় আসন থেকে অতীতে নির্বাচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। নড়াইলের প্রতি আপনার নজর সব সময় আছে।’
তিনি বলেন, ‘নড়াইল সদর হাসপাতালকে উন্নত হাসপাতালে রূপান্তর করার বিষয়ে আপনার নির্দেশনার চিঠি এরই মধ্যে এসেছে। হাসপাতালের ২৫০ শয্যার কাজ চলছে। করোনার এ সংকটে জেলা পর্যায়ে কোনো আইসিইউ করার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আমাদের এখানে একটি আইসিইউ হলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের এ কার্যক্রম আরও সফলভাবে প্রতিহত করতে পারবো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সব ইউনিয়নভিত্তিক কমিটি কাজ করছে জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে সব কাজ করছেন তারা। নড়াইলের পুলিশ সুপার অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। পুরো দেশেই পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
এ সময় তিনি ট্রাকে করে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ১০ টাকা কেজি দরে চালের পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি জানান মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যার বিচার করে নড়াইলের জন্য টিসিবির চাল আরও একটু বেশি এলে উপকৃত হবো।’
বক্তব্যের শেষে মাশরাফি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি একটু কথা বলতে চান।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী হেসে বলেন, ‘অন্য জেলায়ও তো কথা বলতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিও ভালো কাজ করছে। তুমিও ভালো কাজ করছো। ভালো থাকো।’
এর আগে নড়াইল জেলার জেলা প্রশাসক জানান, নড়াইল জেলায় করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে। শুরু থেকেই জনসচেতনামূলক কর্মকাণ্ড, বিদেশ ফেরতদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছে। কমিটি গঠন করা হয়েছে যাতে মানুষ সচেতন হয়। বাজারগুলোকে বড় বড় মাঠে সামাজিক দূরত্ব মেনে করে দেওয়া হয়েছে।
ত্রাণে কোনো অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৬০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছি। স্থানীয়ভাবে ২০ হাজার পরিবারকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহায়তা করেছে। আরও অন্যান্য মাধ্যমে জনগণ উপকার ভোগী হচ্ছে। কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রেখেছি।’