নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিচয়পত্র যাচাই ও বাছাই না করেই কোথাও কোথাও মানুষকে বেদম পেটাচ্ছে এবং হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক পরিষদের (বিওএসপি) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিছু পুলিশ অতি উৎস দেখিয়ে গণমাধ্যম কর্মীসহ তাদের চলাচলরত গাড়ির চালকদেরও নানাভাবে হেনস্তা করছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের মেইল সুপারভাইজর মো. হারুন মিয়া গলায় পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে পত্রিকার গাড়িতে ওঠার আগে পুলিশ তাকে বেদম প্রহার করে।
হারুন মিয়ার অভিযোগ, রাজধানীর মুগদা-মাণ্ডা ব্রিজের অদূরে হায়দার আলী স্কুলের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরো জানান, মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ পরে গলায় পত্রিকা অফিসের আইডি কার্ড ঝুলিয়ে রাস্তায় বের হলেও তার কোনো কথা শোনেনি পুলিশ। বার বার পত্রিকা অফিসের স্টাফ বলার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাকে লাঠিপেটা করেছেন বলে জানিয়েছেন। পুলিশের বেদম প্রহারে গুরুতর আহত হারুন মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া স্বদেশ প্রতিদিন (সংবাদপত্র) স্টিকারযুক্ত একটি মাইক্রোবাসে গতকাল দুপুরে তিন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নগরীর খিলগাঁও ও মালিবাগ থেকে গুলশান অফিসে আসার পথে চেকিংয়ের নামে একাধিকবার গাড়ি থামিয়ে সবাইকে নানাভাবে জেরা করা হয়।
সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীরা প্রত্যেকেই তাদের অফিসের এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পিআইডির পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তাদের হেনস্তা করা হয়। অথচ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটি প্রজ্ঞাপনে লকডাউন ও চলাচল নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও সাংবাদিক এবং সংবাদপত্রবাহী গাড়ি চলাচলের অনুমতি রয়েছে; কিন্তু কতিপয় পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অতি উৎসাহী হয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের মারধর ও হেনস্তা করছে। যা নিন্দনীয় ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ বিধি-বিধান লংঘন করার সামিল।
দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত গণমাধ্যম কর্মী মো. হারুন মিয়া। তাকে মারপিট করাসহ হয়রানির প্রতিবাদে দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক খায়রুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের স্বদেশ প্রতিদিন ইউনিটের ডেপুটি ইউনিট চীফ সাজ্জাদ হোসেন চিশতী, বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক পরিষদ (বিওএসপি) এর সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্ত ও বিচারের দাবি করেছে।