নিউজ ডেস্ক: চলমান করোনাযুদ্ধে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে পুলিশ। করোনাকালে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই ছয় জন পুলিশ সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন।
আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্য। পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসা ও সেবা। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা দিকে পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, আইজিপি’র নির্দেশে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে করোনায় আক্রান্ত প্রত্যেক সদস্যকে সশরীরে পরিদর্শনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ‘বিশেষ টিম’ গঠন করছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে এই বিশেষ টিমগুলো করোনায় আক্রান্ত প্রত্যেক সদস্যকে সরেজমিনে পরিদর্শন করবে, তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিবে, হাসপাতাল কিংবা আইসোলেশনে থাকাকালীন তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জেনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেবে এবং পদমর্যাদা নির্বিশেষে প্রত্যেক সদস্য যাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান- সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
ইতোমধ্যেই ডিএমপি কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি বিশেষ টিম ৮ মে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল এবং করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএমপির ট্রাফিক ব্যারাকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বর্ধিতাংশে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদেরকে দেখতে গেছে।
এসময় করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা এই বিশেষ টিমকে সামনে পেয়ে উজ্জীবিত হন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। বিশেষ টিমটি সমস্যার কথা জেনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে উদ্যোগ নেয়।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত মোট ৯৮ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়েছেন। আইজিপির নির্দেশে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ছয়টি বিভাগীয় শহরে হাসপাতাল ভাড়া করে সেখানেও প্রয়োজনীয় সব সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে।
আক্রান্ত সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি। পাশাপাশি, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইউনিট কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।