নিজস্ব প্রতবিদেক:
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছে। এদিন মোট ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।
রোববার (১৭ মে) ডিএনসিসির পাঁচটি অঞ্চলের প্রতিটিতে একটি ওয়ার্ড করে মোট পাঁচটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়।
চিরুনি অভিযানকালে মোট এক হাজার ৭৪৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এসময়ে বিভিন্ন বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, স্থাপনায় ও পরিত্যক্ত জায়গায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় নয়টি মামলায় মোট ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-১ (উত্তরা) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়রুল হালিম ও রোসলিনা পারভীনের নেতৃত্বে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে মোট ৭৪৮টি নির্মাণাধীন বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় এ অঞ্চলে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং এডিস মশার সব প্রজননস্থলসমূহে কীটনাশক স্প্রে করা হয়।
অঞ্চল-২ (মিরপুর-২) এর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর সেকশন-৬ ব্লক-সি এর ১ থেকে ২০ নম্বর রোডে ৪৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালানো হয়। এসময় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ছয়টি ভবনে নোটিশ দেওয়া হয় এবং অন্যদের সতর্ক করা হয়। এছাড়া দুইটি মামলায় দুইজনকে মোট সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৩ (মহাখালী) এর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাদপুর এলাকায় ১৭০টি বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে ১১টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এতে চারটি মামলায় সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ওইসব এডিস মশার প্রজননস্থলসমূহ ধ্বংস করা হয়।
অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০) এর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কলাউড়াপাড়া ও শাহ আলীবাগ এলাকায় ৩১০টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনায় চিরুনি অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তাদের সতর্ক করে সেসব স্থানে কীটনাশক স্প্রে করা হয়। তবে কোনো জরিমানা করা হয়নি।
অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয় মোহাম্মদপুরের আসাদগেট এলাকায়। এসময় মোট ৬৬টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট পাঁচটি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাদের পরবর্তীতে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রদান ও ওই স্পটসমূহ কীটনাশক দেওয়া হয়।
অঞ্চল-৯ ভাটারা, সুতিভোলা, নূরেরচালা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া। এসময় তিনি ১১টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। বাসা বাড়িতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও ময়লা আবর্জনা থাকায় কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছে এবং এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থলসমূহে কীটনাশক ছিটানো হয়েছে।
চলমান চিরুনি অভিযানসহ ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গত ১০ মে থেকে পরিচালিত অভিযানে এখন পর্যন্ত সর্বমোট এক লাখ ৬৭ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।