গত ১১-০৫-২০২০ইং ও ১৬-০৫-২০২০ ইং তারিখে সিটিজেন নিউজ ২৪ ডট কম পত্রিকায় প্রকাশিত “রোকনুজ্জামানের একক আধিপত্যে চলছে পাইকপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার পশ্চিমপাড় সরকারি কর্মচারী কল্যান সমিতি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়।
প্রকাশিত সংবাদটিতে আমার বিরুদ্ধে গত ৮ বছরে একক আধিপত্য বিস্তারের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ ৮ বছরে ৩টি নির্বাচন হয়েছে এবং আমি একক সভাপতি ছিলাম না। ২০১৩ সালের নির্বাচনে জনাব মোঃ আমানুল্লাহ খান সভাপতি, ২০১৫ সালের নির্বাচনে জনাব মোঃ আঃ হান্নান শেখ সভাপতি, এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনাব এম রোকনুজ্জামান খান সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কমিটির অনুমোদনের বিধান থাকলেও পূর্বের কোন কমিটির সভাপতি তা করেন নি। তাহলে এটি আমার একক বিষয় হয় কিভাবে? ইতোপূর্বে সমাজসেবা অধিদপ্তরে সদস্যদের মাসিক চাঁদা ৫০ টাকা হতে ১০০ টাকায় উন্নিত করার যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তা পূর্বের সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল হান্নান শেখের সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারই স্বাক্ষরে তা অনুমোদন করা হয়। পরবর্তিতে সভাপতিপদে নির্বাচনে হেরে গিয়ে সে কতিপয় সদস্যকে নিয়ে আবেদন করে যা আমার অপকর্ম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি সমাজসেবায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গঠনতন্ত্রের ১৫ অনুচ্ছেদ মোতাবেক নির্বাচনের ৪৫ দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান থাকলেও মহামারী করোনার কারনে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকায় সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া যায়নি।
নতুন কমিটির কাছে একাউন্ট হস্তান্তরের বিধান থাকলেও পূর্বের কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ আঃ হান্নান শেখ বর্তমান কমিটির নিকট একাউন্ট হস্তান্তর করেননি।
প্রতি বছর কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস সমূহ যথাযথভাবে পালন করা হয়ে থাকে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা-১২নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মহোদয়ের উপস্থিতিতে কল্যান সমিতির উদ্যোগে কেক কাটা ও কোরআন খতম করা হয়।
কলোনীতে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রন না জানানোর কারনে আমি মঞ্চে না গিয়ে দর্শক সারিতে ছিলাম। পরে ঢাকা-১৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আমাকে তালাশ করছিলেন। সেদিনে মাননীয় সংসদ সদস্যর বক্তব্যটি তারা ভিন্নখাতে উপস্থাপন করেছেন।
কলোনীর অভ্যন্তরে যে ১২টি গাড়ী রাখা হয় তা বিভিন্ন অফিসের সরকারী গাড়ী। এছাড়া ৫টি প্রাইভেট গাড়ী, ১টি মিনি বাস রাখা হয়। যাহা হতে মাসিক ৩৫০০/- (তিন হাজার পাঁচশত) টাকা আয় হয়। কলোনীতে ৩০টির মতো রিক্সা ভ্যান থাকে যেগুলি থেকে প্রতিটি ৩০০/-(তিনশত) টাকা হারে মাসিক ৯০০০/- (নয় হাজার) টাকা আয় হয়। এছাড়া কলোনীতে বসবাসরত এলোটিদের মাসিক ১০০ টাকা চাঁদা হিসাবে ১৩৫জনের নিকট হতে ১৩৫০০/- (তের হাজার পাঁচশত) টাকা আয় হয়। উক্ত আয় হতে কলোনীর নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীর বেতন ভাতা বাবদ ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা এবং ময়লা পরিস্কার করার জন্য পরিছন্ন কর্মীর বেতন বাবদ ৭০০০/-(সাত হাজার) টাকা সংকুলান করা হয়ে থাকে। ইতিপূর্বে সমিতির সংলগ্ন গোড়াউন ঘর হইতে ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা আয় হতো। তাহা দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কলোনীর অভ্যন্তরে বিভিন্ন পরিস্কার পরিছন্ন কাজে টাকা ব্যয় করা হয়ে থাকে। মাসিক ৪০,০০০/-(চল্লিশ হাজার) টাকা হিসাবে ৬ বছরে ২৮,০০,০০০/-(আটাশ লক্ষ) টাকার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। যদি তাই হয় এর দায়িত্ব সাবেক সভাপতি হান্নান শেখ এর দায় এড়াতে পারেন না। কলোনীর বিস্তারিত হিসাব বিবরনী উপরে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও আমার নামে প্রভাবশালী মন্ত্রীর ড্রাইভার থাকাকালে মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে তদবীর, অনিয়মের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার স্পষ্ট প্রমাণ উল্লেখ করা হয়নি। প্রক্ষান্তরে সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাকুরী দেওয়ার নাম করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যাহার স্পষ্ট প্রমান রয়েছে। আমার উপর অভিযোগের ভিত্তিতে কেহ কোন প্রমান উপস্থাপন করতে পারলে তার দায় আমি মাথা পেতে নেব। সুতরাং উক্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো। নির্বাচন সামনে আসায় কলোনীর অভ্যন্তরে কতিপয় কুচক্রী লোক তাদের নিজের অন্যায় ও অপকর্ম ঢাকতে আমার দীর্ঘদিনের অর্জিত ব্যক্তিগত সুনাম নষ্ট করতে এবং নির্বাচনী ফায়দা হাছিলের জন্য এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
এম রোকনুজ্জামান খান
সভাপতি, পাইকপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার পশ্চিমপাড় সরকারি কর্মচারী কল্যান সমিতি।