নিজস্ব প্রতিবেদক : ছয় বছর পেরিয়ে সাফল্যের ৭ম বর্ষে পদার্পণ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। ছয় বছরে ১৫টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্য এবং ১৩টি উড়োজাহাজ যোগ হয়েছে এয়ারলাইন্সটির বহরে।
২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল ইউএস-বাংলা বাংলাদেশের উড়োজাহাজ পরিবহন শিল্পে যাত্রা শুরু করে একের পর এক অনন্য নজির স্থাপন করছে, অর্জন করেছে সাফল্যের মাইলফলক।
ছয় বছর আগে ৭৬ আসন বিশিষ্ট দু’টি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আকাশে প্রথম ডানা মেলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। যাত্রা শুরুর এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সব বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা ফ্লাইট পরিচালনা করে স্বল্প সময়ে আকাশপথের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে সূদৃঢ়। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর দু’বছরের মধ্যে ঢাকা-কাঠমাণ্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পা রাখে।
নিকট ভবিষ্যতে আবুধাবী, জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম, দুবাই, হংকং, দিল্লি রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে ইউএস-বাংলা।
বর্তমানে ইউএস-বাংলার বহরে মোট ১৩রটি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ১৬৪ আসনের চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৭২ আসনের ছয়টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এবং ৭৬ আসনের তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স শুধু যাত্রীই পরিবহন করে না, সঙ্গে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কার্গোও পরিবহন করে থাকে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন ৭ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা যেকোনো ধরনের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। বর্তমান বিশ্বে যাত্রীদের সঠিক সেবা দেওয়ার জন্য ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফটের কোনো বিকল্প নেই। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রীদের আরামদায়ক সেবাকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত বহরে নতুন নতুন এয়ারক্রাফট যুক্ত করে চলেছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স-ই একমাত্র দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থা, যারা অভ্যন্তরীণ রুটে ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইনশাল্লাহ নিকট ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক রুটেও ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফট বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছি। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে ইউএস-বাংলা পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।’
‘ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।