নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি লেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান ডিএসসিসি মেয়র।
স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য শর্তাবলী প্রতিপালনে ডিএসসিসি কঠোরতা দেখাবে, জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ৮টি সংসদীয় আসনের কথা বিবেচনা করে আমরা ১১টি জায়গায় ১১টি পশুর হাট ইজারা দিয়েছি। এসব হাট সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গতকাল ইজারাদারদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। শর্তাবলী প্রতিপালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে আমরা হাটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। কেউ ইজারার শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমে দেখছি, অনেকেই ইতোমধ্যে ইজারায় বরাদ্দকৃত জায়গার বাইরে আবাসিক এলাকাতেও গরুর হাট বিস্তৃত করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বরাদ্দকৃত জায়গার বাইরে কোনো ইজারাদার পশুর হাট বসাতে পারবে না।’
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে, এ আশা ব্যক্ত করে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরের দশটি পুকুর-খাল-জলাশয় নিয়ে একটি প্রকল্প আমরা সাজাচ্ছি। শিগগিরই এ প্রকল্প জমা দেওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি, পর্যায়ক্রমে ঢাকার অন্যান্য সমস্যার সুরাহা করার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে জলাবদ্ধতা সমস্যারও সমাধান করতে পারব।’
ধানমন্ডি লেকে ১২০ কেজি রুই (১০৮০টি পোনা), ৬০ কেজি কাতলা (৩০০টি পোনা), ১০৫ কেজি মৃগেল ১০৫ (১০৫০টি পোনা), ১৫ কেজি কালিবাউসসহ (১৫০টি পোনা) মোট ৩০০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর শিরিন গাফফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।