নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্ল্যাহর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার পর তিনি সরে না আসায় স্বামীর সামনেই শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্ত্রী শামীমা (৩৩)। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সোমবার (৩ আগস্ট) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার (২৬ জুলাই) রাতে শামীমা স্বামী মোহাম্মদ উল্ল্যাহকে পরকীয়া প্রেমিকার বাড়ি থেকে ধরে এনে তার সামনেই শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
শামীমা আড়াইহাজার উপজেলার ফাতেহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইমান আলী মেম্বারের মেয়ে। মোহাম্মদ উল্ল্যাহ আড়াইহাজার উপজেলার শিবপুর থানা সংলগ্ন হালিম মোক্তারের ছেলে।
মোহাম্মদ উল্ল্যাহর আড়াইহাজার উপজেলার একটি মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ করেন নিহত শামীমার ভাই আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু।
হাবিবুর রহমান হাবু জানান, এর আগেও একাধিকবার পরকীয়া সম্পর্ক করায় মোহাম্মদ উল্ল্যাহকে সতর্ক করেছিল শামীমা। এর আগেও তিন বার আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্বামীকে এ পথ থেকে ফেরাতে চান শামীমা।
সর্বশেষ ঈদের আগে ২৬ জুলাই রাতে শামীমা স্বামীকে ওই নারীর ঘর থেকে ধরে নিয়ে এসে স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি শরীরে দু ‘বার আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সোমবার (৪ আগস্ট) ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে মৃত্যুর পর বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। দুর্ঘটনাবশত তার স্ত্রী শামীমার শরীরে আগুন লেগে যায়। পরে আমি দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, কেউ আমাদের এখানে লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।