ক্রীড়া ডেস্ক: ১১ বছর পর টেস্টে প্রত্যাবর্তন। দলে আসার পর থেকেই আলোচনার মধ্যেই আছেন পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ফাওয়াদ আলম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে আসলেন, মাত্র এক ইনিংস ব্যাটিং পেলেন। ৪ বলে করলেন শূন্য, আলোচনা বড় সমালোচনায় রূপ নিতে তাই সময় নেয়নি।
এতদিন পর কেন এই ব্যাটসম্যানকে ফেরানো হলো, কেনইবা ইংল্যান্ডের মাটিতে তাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দেয়া হলো? তৃতীয় টেস্টে ফাওয়াদকে বাদ দেয়ার জোরালো দাবিও উঠে মাইকেল ভনের মতো কোনো কোনো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের পক্ষ থেকে।
কিন্তু পাকিস্তানের টিম ম্যানেজম্যান্ট অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে হুট করে বাদ দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সাউদাম্পটনে চলতি টেস্টে ফের তাকে একাদশে রাখা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য যেন পিছু ছাড়ার নয় ফাওয়াদের।
এমনিতেই নানামুখী চাপ। এর মধ্যে আবার ভুল সিদ্ধান্তের শিকারও হলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। অথচ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে তোলার কাজে দারুণভাবেই আজহার আলিকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ফাওয়াদ। পঞ্চম উইকেটে তাদের জুটি থেকে আসে ৪৫ রান।
ফাওয়াদ দাঁতে দাঁত চেপে লড়ছিলেন। ৭৪ বলে ২১ রানের ইনিংসটিতে তিনি মাত্র একটি বাউন্ডারি হাঁকান। ব্যাটে বড় কিছু করার আভাস ছিল। কিন্তু সেটা আর হলো কই? ডম বেসের বলে উইকেটরক্ষক জস বাটলারের ক্যাচ হলেন, যে আউটটিতেও জড়িয়ে ছিল দুর্ভাগ্য।
ফাওয়াদকে যে বলে আউট দেয়া হয়েছে, ক্রিকেটীয় নিয়মে সেটি ছিল একটি নো-বল। সেটা মাঠের কেউই খেয়াল করেননি। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, ডম বেসের ডেলিভারিটা স্ট্যাম্প পার হওয়ার আগেই ভেতরে হাত দিয়ে ফেলেছিলেন জস বাটলার। যেটি কিনা ক্রিকেটের আইনে ২৭.৩ ধারায় ‘নো-বল’ হওয়ার কথা।
কিন্তু আম্পায়ার সেটি খেয়াল করেননি। ফাওয়াদকেও ‘নো-বলে’ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে। আজহার আলির সঙ্গে তার জুটিটা দাঁড়িয়ে গেলে হয়তো ম্যাচে অন্যরকম অবস্থায় থাকতো পাকিস্তান। আজহার একাই খেলেছেন ১৪১ রানের হার না মানা ইনিংস। কিন্তু তাতেও ফলোঅন এড়াতে পারেনি পাকিস্তান। হারের শঙ্কায় আছে সফরকারিরা।