নিজস্ব প্রতিবেদক: অনৈতিক অসাধু কিছু কর্মকর্তার সহায়তায় অপহরণ জিম্মি মুক্তিপণ প্রতারক চক্রের নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ও সিজিএম কোর্ট রংপুরে চেক ডিসঅনার মামলা থেকে বাঁচার আকুতি জানিছেন ভুক্তভোগি আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, অপহরণ জিম্মি মুক্তিপণ প্রতারক চক্রের দায়ের করা মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে করা চেক জালিয়াতির মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার মহিষবান্দি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মন্ডলের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম মন্ডল।
আরো জানা যায়, আমিনুল একজন ব্যবসায়ী হওয়ার সুবাদে ২০১৯ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫ টায় তার মোবাইলে একটি ফোন আসে। ওইদিন মোতাহার হোসেন দুলাল নামে এক ব্যাক্তি ‘সি আই ডি’ পরিচয় দিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ নিতে ‘সি আই ডির অফিস।
পরে ‘সি আই ডির অফিসের সামনে গিয়ে উক্ত মোতাহার হোসেন দুলাল নামে ব্যাক্তিকে ফোন দিলে, কিছুক্ষন পর ৪/৫ জন সাদা পোশাকধারী লোক এসে তুলে নিয়ে যায় এবং ‘সি আই ডি’ অফিসের এনক্স ভবনের ৬ তলায় নিয়ে যায়। তার পরপরেই তাহার মোবাইল ফোন ও ব্যাবসায়িক নগদ ১ লক্ষ টাকা জোর করে নিয়ে নেয়। উক্ত ‘সি আই ডি’ পরিচয়দানকারী সদস্যরা তাহার উপর মারপিঠ করেন আর বলতে থাকে তোর নামে একাধিক মামলা আছে, এখন যদি নগদ ১০ লক্ষ টাকা না দিস তোকে ক্রসফায়ার দিয়ে দিবো, আর বলে আমরা তোকে ক্রসফায়ার দিলে আমাদের কিছুই হবে না। উক্ত স্থানে মিজান নামে একজন উপ পরিদর্শক সি আই ডির ছিলেন। সে নগদ ১০ লক্ষ টাকা অথবা চেক দিতে বলেন। প্রাণভয়ে আমিনুল ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক দেন। যাহার নাম্বার ঈউই ৫৩৮১৮০৪ তারিখ ২৫/০২/২০১৯। ২ মাস পর জানতে পারে যে উক্ত প্রতারক চক্রের হোতা মোতাহার হোসেন দুলাল চেকটি ডিসঅনার করে গত ১৪ মে ২০১৯ তারিখে রংপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট আদালতে একটি মামলা করে। যাহার নং: সি আর ৪১৯/১৯ । উক্ত মামলায় নোটিশ না করে গোপনে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করে এবং সেই অপহরণ জিম্মি ও মুক্তিপূণ মামলার ভয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং তাহার পরিবার দারিদ্রতার মহা সংকটে দিন পার করছে, বিচারক সহ সংশ্লিষ্ট মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।