গত ৪ মাসে র্যাবের কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সময় সংবাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা জানান।
গত বছরের ডিসেম্বরে দেশের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জাতিসংঘে দেশটির তোলা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে বাংলাদেশ।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের টানাপোড়েনের নানা গুঞ্জনের মাঝেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন পররাষ্ট্রসচিব। নিরাপত্তা বিষয়ক এই সফরে সর্বাধিক গুরুত্ব পায় র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইস্যু।
দেশে ফিরে মঙ্গলবার সময় সংবাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, গত ৪ মাসে র্যাবের কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আইনি প্রক্রিয়ার দিকেও এগোচ্ছে ঢাকা।
তিনি বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। এটা তুলে নিতে হলে যে প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এটা বাতিল করতে হবে। আমরা লিগ্যাল প্রসেসের মধ্যদিয়ে যাব। ওখানে (যুক্তরাষ্ট্র) সার্টিফায়েড যে আইনজীবীরা আছেন, তাদের দিয়ে কাজগুলো করাতে হবে। আমরা ইনিশিয়াল কিছু লিগ্যাল অ্যাকশন নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নিয়োগ করা হবে।
পররাষ্ট্র সচিব আরো জানান, রানা প্লাজার মতো তৈরি পোশাক খাতের দুর্ঘটনার পর, বন্ধ করে দেওয়া বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা-জিএসপি চালুর বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা প্রস্তাবে ভোট না দেওয়া প্রসঙ্গে ঢাকার ব্যাখ্যাকে ওয়াশিংটন ইতিবাচকভাবে দেখছে বলেও জানান সচিব।