ইউক্রেনের শতাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (১৮ এপ্রিল) এ দাবি করে মস্কো জানায়, রুশ সেনাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি সেনাঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
লভিভসহ ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানায় রাশিয়া। এতে হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। খবর বিবিসির।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) ইউক্রেনের লভিভ শহরের একটি টায়ার তৈরির কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। সঙ্গে সঙ্গেই পুরো কারখানায় আগুন ধরে যায়, কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চারপাশ। লভিভ ছাড়াও এদিন খারখিভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে দফায় দফায় হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় অনেক ভবন।
এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের ৩১৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এর মধ্যে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের গুদাম রয়েছে। একই সঙ্গে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
খারকিভ, ইরপিনসহ বিভিন্ন এলাকার ১৬টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছে মস্কো। কৃষ্ণ সাগরে রুশ যুদ্ধজাহাজ মস্কভায় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে হামলা জোরদার করে মস্কো। তারই অংশ হিসেবে এ অভিযান।
এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ পেতে তোড়জোড় শুরু করেছে ইউক্রেন। ইইউর সদস্যপদের জন্য একটি প্রশ্নমালা পূরণ করে জমা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইউক্রেন ইইউর সদস্যপদ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের দুই নাগরিককে আটক করেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনে আটক রাশিয়াপন্থি রাজনীতিক ভিক্টর মেদভেদচুকের সঙ্গে নিজেদের বিনিময়ের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এ জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে সহায়তা চেয়েছেন দুই ব্রিটিশ নাগরিক।
রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা ইউক্রেন ছেড়েছে তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।