শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

সাভারে চেয়ারম্যানের বিরুদ্বে ধর্ষণ ও মানব পাচারের মামলা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
  • ১৪১ বার পঠিত

ঢাকার সাভারের বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামসহ নয়জনের বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ ও মানবপাচারের অভিযোগে ঢাকার মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন পটুয়াখালী কলাপাড়া টিয়াখালী গ্রামের এক যুবতী। এতে ঘটনাস্থল উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার মুগদা থানার ৪৬/বি-১ উত্তর মানিকনগরের বাসা।

সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ দুপুরে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে সাইফুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের খবর বনগাঁও এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার কপি ফটোকপি করে বিলি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সাইফুল আত্মগোপনে আছেন বলে তার ঘনিষ্টরা দাবি করেছেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন হাওলাদার জানান, মানবপাচার ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। পিটিশন মামলায় বাদীর দাবি, ঘটনার পর তিনি পালিয়ে মুগদা থানায় গিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করলেও থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর মামলা না নিয়ে তাকে হয়রানি করেন। থানার এসআই এনামুল ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলেও মামলা রেকর্ড না করায় ওই জোনের সহকারী কমিশনারের (এসি) কাছে গিয়েও প্রতিকার মিলেনি।

বাদীর অভিযোগ, বিবাদীরা মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত এবং কালো টাকা উপার্জনকারী, নারী লোভী ও পতিতা ব্যবসায়ী। থানা অভিযোগ না নেওয়ায় গত ১০ এপ্রিল আদালতে পিটিশন মামলা রুজু করা হয়েছে।

সাইফুল ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন, জাভেদ হোসেন পাপন, মোখলেছ, আনিসুর রহমান রতন, জসিম, কবির হোসেন মিরাজ, আলাউদ্দিন, আনোয়ারা বেগম আঙ্গুরি ও জামাল উদ্দিন মীর। মামলায় ১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আঙ্গুরি তাকে গৃহপরিচারিকা পরিচয়ে বাসায় রেখে দেহব্যবসা করিয়ে আসছিলেন। সাইফুলসহ অন্য সাতজন তার সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে জড়াতেন বলেও দাবি করছেন ওই যুবতী। মামলা আমলে না নেওয়ায় থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে। সাক্ষী করা হয়েছে জোনের এসি ও থানার এসআইকে।

তদন্ত সংশ্লিরা জানান, আদালতের নির্দেশ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদীর বক্তব্য নিয়েছেন। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

সাভার মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে, সাইফুলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মাামলার ব্যাপারে পুলিশ অবগত রয়েছে। এদিকে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফসলি জমি ভরাটকরাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com