ভারতে গত ১৫ দিনে ছয়জন তারকার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে এসব মৃত্যুর পিছনে কে বা কারা জড়িত কিংবা কি-ই বা তাদের মৃত্যুর কারণ এবার সেটি বের করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
গত ১১ মে নিখোঁজ হন হরিয়ানার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিব্যা ইন্দোরা ওরফে সংগীতা। মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ের কথা বলে নিয়ে গিয়ে তাকে শ্বাসরোধে খুন করা হয়। পরবর্তীতে ভৈরো ভাবানি গ্রামের এক ফ্লাইওভারের পাশ থেকে গায়িকার পচাগলা লাশ উদ্ধার করা।
এদিকে নিজের ২০তম জন্মদিনের ঠিক পরদিনই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন কেরালার জনপ্রিয় মডেল ও দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী সাহানা। গত ১৩ মে কেরালার কোঝিকোড় শহরে অভিনেত্রীর নিজবাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাহানার মায়ের অভিযোগে তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। সাহানার মায়ের অভিযোগ, তার মেয়েকে খুন করেছেন জামাতা সাজ্জাদ।
রহস্যজনক মৃত্যুর তালিকায় থাকা ভারতীয় বাংলা টেলিভিশনের অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যু নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে। প্রেমিক-সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, গত ১৫ মে সকালে সেখান থেকেই তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রেমিক সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত এই মৃত্যু রহস্যের সুরাহা হয়নি।
পল্লবীর মৃত্যুর পরদিন (১৬ মে) ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান কন্নড় অভিনেত্রী চেতনা রাজ। একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জারি করতে গিয়ে প্রাণ হারান তিনি।
চেতনার মৃত্যুশোক কাটতে না কাটতেই চিরবিদায় নেন দক্ষিণী মডেল ও অভিনেত্রী শেরিন সেলিন ম্যাথিউর। গত ১৭ মে সকালে নিজ ফ্ল্যাটেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় শেরিনের মরদেহ পাওয়া গেছে। যাদের সঙ্গে এই অভিনেত্রীর মনোমালিন্য চলছিল, তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেছে পুলিশ।
সবশেষ এই তালিকায় যোগ হয় ২১ বছর বয়সী মডেল বিদিশা দে মজুমদার। ২৫ মে নাগেরবাজারের রামগড় কলোনির বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগেও দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে বান্ধবী ও সহকর্মীদের বাধার মুখে কিছু করতে পারেননি। শেষরক্ষা হলো না তার। রহস্যজনকভাবে নিভে গেল সম্ভবনাময় কিছু নাম।