আবারও রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার (২৯ জুলাই) এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ দাবি জানান। একইসঙ্গে দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে নাগরিকদের দ্রুত সরে যেতে বলেছেন তিনি। এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শতাধিক ইউক্রেনীয় সেনা নিহতদের দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। শনিবার (৩০ জুলাই) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনের সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে এদিন বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের দাবি, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে তাদের হামলায় শতাধিক রুশ সেনা নিহত হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে বেশ কয়েকটি যান।
ভিডিওবার্তায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও দাবি জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউরোপ যদি রাশিয়া থেকে গ্যাস ও তেল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ না করে, তাহলে পুতিনের হাতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট টাকার জোগান থাকবে। ফলে যুদ্ধ চলতেই থাকবে।
দুই দলের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কের সব নাগরিককে দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কারাগারে হামলার পরই এ নির্দেশ দিলেন তিনি। একই সঙ্গে কারাগারে হামলা চালানোয় রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আবারও আহ্বান জানান জেলেনস্কি।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, কারাগারে হামলা চালিয়ে তারা যে অপরাধ করেছে তার সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে। এতো নিরীহ মানুষের হত্যার ঘটনায় শুধু নিন্দা যথেষ্ট নয়। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তাদের এখনই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দিতে হবে।
এদিকে শনিবার কিয়েভে বিক্ষোভ করেছে কারাগারে বন্দিদের স্বজনরা। এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করেন অনেকে। একই সঙ্গে, কারাগারটিতে জীবিত বন্দিদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান তারা।
ভিডিওবার্তায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও দাবি জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউরোপ যদি রাশিয়া থেকে গ্যাস ও তেল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ না করে, তাহলে পুতিনের হাতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট টাকার জোগান থাকবে। ফলে যুদ্ধ চলতেই থাকবে।
ইউক্রেন দাবি করছে, ইউরোপীয় দেশগুলো তেল-গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিক। তাহলেই রাশিয়া চাপে পড়বে। তবে পরিবর্তিত অবস্থায় রাশিয়াও তার তেল-গ্যাসের নতুন ক্রেতা খুঁজে নিয়েছে। ফলে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জ্বালানি বিক্রি করে আগের চেয়ে বেশি অর্থ পকেটে পুরেছে পুতিনের দেশ। এ কারণে নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার যতটুকু ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা তো হয়ইনি, উল্টো বিপাকে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলো।