নিজস্ব প্রতিবেদক :
যারা মনোনয়ন পাবে তাদের বিরুদ্ধে অন্তত দুইটি মামলা থাকতে হবে। গত ১৭ বছরে আপনার নামে একটি মামলাও হলো না অথচ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা হলো, তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়েছিল এবং এদিকে বিএনপির সিলেট-৩ সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন সেই নেতাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করতে তৎকালীন আওয়ামী মেয়রসহ অন্যান্য নেতারা গিয়েছিলেন। এম এ মালিক বলেন যারা বিগত সময় ফ্যাসিস্টেদের সাথে আতাত করে মামলা এড়িয়ে চলছেন দল যেন তাদের মনোনয়ন না দেয়। এছাড়া দল যাকে মনোনয়ন দিবে সে দলের পক্ষে অবস্থান নিবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর ২০২৫) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি জনাব এম এ মালিক- এর পক্ষ থেকে “ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প-৪ এ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব বলেন।
এম এ মালিক শুরুতেই শহীদ প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্য দোয়া কামনা করেন। এম এ মালিক জানান বেগম জিয়া অসুস্থ্য।
এম এ মালিক বলেন, মানুষের সেবার সাথে নির্বাচনের কোন সুযোগ নেই। তিনি সব সময়ই মানুষের জন্য কাজ করে আসছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গনতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে
কাজে করেছেন। তিনি মানুষের মধ্যে বেচে থাকতে চান।
তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, দেশ নায়ক তারেক রহমানের গতিশীল নেতৃত্বে দেশে আজ গনতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।সকল রাজনৈতিক দল উৎসব মুখর পরিবেশে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার জীবনের শেষ সময়ে মানুষের সেবা করতে চাই। এজন্য যুক্তরাজ্য ছেড়ে এলাকায় এসেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প, ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন, এবং শাড়ি ও কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এম এ মালিক বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ৩১ দফার মাধ্যমে কিভাবে রাষ্ট্র মেরামত হবে সেটি পরিস্কার করেছেন এবং উনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সবাই দেশের মানুষের পাশে দাড়িয়েছি।
তিনি বলেন গনতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও তাকে বলেছেন নিজ এলাকায় থেকে দেশসেবা করতে এবং দেশের বাহিরে না যেতে। এম এ মালিক ও কথা দিয়েছেন তিনি দেশে থেকে দেশ সেবা করবেন, আর বাহিরে যাবে না।
সাংবাদিকদের এমন উদ্যোগ গ্রহণের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তার এলাকার লোকজনের অনেক ভোগান্তি, ঢাকা থেকে সিলেট আসতে ২১-২২ ঘন্টা সময় লাগে। সিলেট-৩ সংসদীয় আসনের অনেক গরীব অসহায় পরিবারের লোকজন চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ০৫ ই আগষ্টের পর দেশে এসেই তিনি তাদের সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণে অংশ হিসেবে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প এর এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে সবাই চিকিৎসার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঔষধ ও বিনামূল্যে অপারেশনের সুযোগ পাবেন। আশাকরি সকলের উপকার হবে এবং এসব কার্যক্রম চলমান থকবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন সুরমা উপজেলা বিএনপি সভাপতি-, সাহাবুদ্দিন আহমেদ,,উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক, বজলুর রহমান ফয়েজ,,তেতলী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি- আজমল আলি,,সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন,লালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিফতা,সিলেট জেলা যুবদলের সহ-সাধারন মিনার হোসেন লিটন প্রমূখ।