বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে ১টি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২২ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা।
শুক্রবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এফবি আল্লাহ দান ট্রলারটির মালিক মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি সাইরার ডেইল এলাকা শের উল্লাহ। জাল, তেল ও মালামালসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা ট্রলারটির মূল্য বলে জানিয়েছেন মালিকের ছেলে এজাজুল হক (১৮)। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় তিনি ট্রলারে ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন- এজাজুল হক, নাছির উদ্দিন, রেজাউল, জয়নাল,আব্দুল আজিজ, নুর, নুরনবী, বাদশা, ছোটন, আজিজ, রুহুল কাদের, জাহাঙ্গীর, নেছার, শাহাবউদ্দিন, নুর হোসেন, বশর, রবিউল, কালু, কোরবান আলী ও জাবের। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি। উদ্ধার হওয়া জেলেরা সবাই মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা ।
নাজিরারটেক উপকূলে আসার পর উদ্ধার হওয়া জেলে এজাজুল হক বলেন, ট্রলারটি দেড় কোটি টাকায় তৈরি করা হয়েছে। ২২ জন জেলেসহ শুক্রবার দুপুর ২টায় নাজিরারটেক উপকূল থেকে মাছ ধরার জন্য সাগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। যেখানে তেল ও খাদ্য সামগ্রীসহ ২ লাখ টাকার মালামাল নেয়া হয়। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে পৌঁছাতেই ট্রলারটি বালিতে আটকা পড়ে। এরপর ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি উল্টে যায়।
ট্রলারটি উল্টে ১১ জন জেলে পানিতে পড়ে যায়। আর বাকিরা ট্রলারটির নানা অংশ ধরে উপরে ভাসতে থাকেন। পরে স্থানীয় জেলেরা ৪টি ট্রলার নিয়ে এগিয়ে এসে সবাইকে উদ্ধার করেন।
বেঁচে ফেরা জেলে কোরবান আলী বলেন, ট্রলারটি উল্টে যাওয়ার পর প্রথমে আমি পানিতে পড়ে যাই। পরে সাঁতার কেটে উপকূলে উঠার চেষ্টা করি। কিন্তু উপকূল অনেক দূরে ছিল। এক পর্যায়ে মনে করেছিলাম পানিতে ডুবে মারা যাব। কিন্তু আল্লাহ রহমতে অন্য জেলেরা এসে উদ্ধার করেছে।
নাজিরারটেক মাঝিমাল্লা সমবায় সমিতিরর সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোশারফ বলেন, ট্রলার থেকে ২২ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পরও ভাটার কারণে উদ্ধার করা যায়নি। আশা করি জোয়ার আসলে ৪টি ট্রলারের সাহায্য ট্রলারটি টেনে তুলে উপকূলে নিয়ে আসতে সক্ষম হবো।