শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সবার সতর্ক থাকা জরুরি : আমিনুল হক মাইলস্টোন স্কুলের আহত শিক্ষার্থীর পাশে “আমরা বিএনপি পরিবার” অবসরপ্রাপ্ত ৭৮ কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ যতোই চ্যালেঞ্জিং হোক, সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা এনবিআরের ৪১ অতিরিক্ত কর কমিশনার বদলি সম্প্রতি ফ্লাইটসমূহে কারিগরি ত্রুটির প্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গৃহীত পদক্ষেপ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে জনগণের অধিকার খর্ব হবে; মির্জা ফকরুল চীন সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২২ মাস পর ব্রাজিল দলে ফিরছেন নেইমার! বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের নমনীয়তায় কি চীনের মন গলবে?

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৫২ বার পঠিত

শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন নমনীয়তা দেখালেও, যুক্তরাষ্ট্র ইস্যুতে চীনের অবস্থান ও নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ ও প্রতিযোগিতার ঊর্ধ্বে গিয়ে বৈশ্বিক নানা সংকট সমাধানে দুই দেশের এক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার কতটুকু সফল হবে, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের বাইরে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দুই নেতার বহুল প্রতীক্ষিত এ বৈঠকে উভয়ের কণ্ঠেই ছিল নমনীয়তার সুর। ছিল বিভিন্ন ইস্যুতে তীব্র মতবিরোধ আর প্রতিযোগিতাকে পাশে রেখে বৈশ্বিক নানা সংকট মোকাবিলায় এক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার। ছিল ভবিষ্যতে আর কোনো স্নায়ুযুদ্ধে না জড়ানোর মার্কিন প্রতিশ্রুতিও।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বহুল প্রতীক্ষিত ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে দুই নেতার কণ্ঠে নমনীয়তার সুর লক্ষ্য করা গেলেও, মার্কিন ইস্যুতে নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন হবে না চীনের। ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নতি হলেও, তা ওয়াশিংটন-বেইজিং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবেনা বলেও মত তাদের।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ক্রেইগ কাফুরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই বলে তারা কোনো সংঘাত চায় না। প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ক নিয়েও তাদের নাকি মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, চীন কখনোই বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে দেখে না। তারা চায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে থাকতে এবং এটি যেন যুক্তরাষ্ট্রও স্বীকার করে নেয়। আর এ কারণেই বাইডেনের এতসব প্রতিশ্রুতি বেইজিংকে কতটুকু সন্তুষ্ট করবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে পাশে চায় বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা। যেকোনো অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় চীনা সহায়তার বিকল্প নেই বলেও মত অনেকের।

তেং জিয়ানকুন নামের আরেকজন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক বলেন, বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এশিয়া অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রও এটি অনুধাবন করতে পেরেছে যে, বিশ্বায়নের জন্য কেবল নিজ দেশেই নয়, ইউরোপ ও এশিয়াতেও নিজেদের অর্থনীতিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর এটি চীনের মতো পরাশক্তির সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক রেখে সম্ভব নয়। যার অর্থনীতি যত খারাপ, তার তত বেশি চীনকে প্রয়োজন।

তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে দুই নেতা যাই বলুক না কেন, তাইওয়ান ইস্যুতে দু’দেশের নীতিগত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। আর এতে করে ভবিষ্যতে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে অঞ্চলটিকে আরও বেশি যুক্ত করার চেষ্টা ওয়াশিংটন অব্যাহত রাখবে বলেও মত সংশ্লিষ্টদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com