শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয় সমাবেশ সফল করতে উত্তরায় জামায়াতে প্রস্তুতি মিছিল নির্বাচন পেছাতে ‘সংস্কার বিচারের’ নামে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে: আমিনুল হক ঢাকায় জাতিসংঘের অফিস আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, প্রতিহত করবে ঈমানদার জনতা”- মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী জুলাই অভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভিসা জালিয়াতি করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা ভাইস প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে ঢাকায় আসছেন স্পেসএক্স প্রতিনিধিদল ৯ দফা দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর বিক্ষোভ উত্তরায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ; আহত সিগারেট দোকানদার জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী পুরস্কৃত হলেন ৭ পুলিশ সদস্য

অসহ্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কাম্য: দয়াল কুমার বড়ুয়া

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৪২ বার পঠিত

রোহিঙ্গা নামের সাক্ষাৎ আপদ বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপেছিল ছয় বছর আগে। পশ্চিমা শক্তি এবং দেশের একটি পরগাছা শ্রেণির চাপে মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ সিদ্ধান্ত মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে সন্দেহ নেই। তবে অপর পিঠে রয়েছে অন্ধকার। বিশ্বরাজনীতির আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে বাংলাদেশকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করে কোনো কোনো দেশ স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ রাজি না হওয়ায় নানা অজুহাত তুলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সেনা অভিযানে নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে অনীহা দেখাচ্ছিল। চীনের উদ্যোগে তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প নিয়েছে। চীন এ প্রকল্পের জন্য বেশ তোড়জোড় চালালেও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা এই পাইলট প্রকল্পের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গারা ফেরত যাওয়ার পর কোথায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই প্রকল্প বন্ধ করতে চতুর্মুখী বাধা দেওয়া হচ্ছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের আগের ঘরবাড়ি নেই, তবে অন্য ধরনের সুবিধা রয়েছে। সেখানে গিয়ে কিছুদিন না থাকলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত হবে না। ফলে রোহিঙ্গাদের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসনে বাধা হয়ে দাঁড়ানো কারও উচিত নয়। বেশির ভাগ রোহিঙ্গা ফেরত যাওয়ার পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যানের সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরে গেলে তাদেরও রোহিঙ্গারা বলেন, তারা ফেরত যেতে চান।

যত বিশ্বনেতা এসেছেন, তাদের সামনে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রোহিঙ্গারা বলেছেন আমরা রাখাইনে যেতে চাই। তারা সেখানে কয়েকদিন থাকলে রাখাইনের সমস্যা আরও ভালোমতো বুঝতে পারবে। তবে এ কথাও ঠিক মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে প্রত্যাবাসন হচ্ছে না। রোহিঙ্গা খরচের পুরোপুরি দায়িত্ব জাতিসংঘের। বাংলাদেশের কোনো দায়িত্ব নেই। তারপরও রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে বাংলাদেশ সরকার। রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশে মাদক আগ্রাসন বাড়ছে। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ফলে নিজেদের স্বার্থেই দ্রুত এ সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের কাম্য। অতি দরদিরা ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের দেশে নিলে সেটিও হবে উত্তম।

লেখক: দয়াল কুমার বড়ুয়া, কলামিস্ট ও জাতীয় পার্টি নেতা, সভাপতি, চবি অ্যালামনাই বসুন্ধরা। সংসদ সদস্য প্রার্থী ঢাকা-১৮ আসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com