নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর শ্রীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কেওয়া পশ্চিম খন্ড মোঃ সুরুজ মিয়ার মেয়ে আকলিমা আক্তার শিমু (২১) নির্যাতনের শিকার হয়ে শ্বশুর বাড়িতে ঘরের ফ্যানের সাথে জুলে আত্মহত্যা করেছে, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনার বিষয়ে পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে তার স্বামী নির্যাতন করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
গত চার বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে আকলিমা আক্তার শিমুর সাথে একই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ বায়েজিদ (২৫) এর সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে আরিয়ান (দেড় বছরের) একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আকলিমা আক্তার শিমুর বাবা সুরুজ মিয়া বলেন বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমার মেয়েকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে, আমার মেয়ের দুই হাতে ব্লেড দিয়ে কাটে পাশন্ড বায়েজিদ। একসময় আমার মেয়েকে মৌখিক তালাক দেয় বায়েজিদ পরে এলাকার লোকজনের সহায়তায় তাকে তারা নিয়ে যায়, কিছুদিন পরে মেয়ের গর্ভে সন্তান আসলে সে সন্তানের জন্য সকল ধরনের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে ওই বাড়িতে থাকে। গত ৮ নভেম্বর আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে খবর দিয়ে আমার স্ত্রী ফাতেমা ও ছোট ছেলেকে তাদের বাড়িতে নেয়,যাওয়ার পর দেখে আমার মেয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে,তখন তারা আমার মেয়েকে আল হেরা হাসপাতাল ও শ্রীপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার আমার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করে।
মেয়ের মামা আমান উল্লাহ বলেন আমার ভাগিনী কে হত্যা করা হয়েছে, তার তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে, তার স্বামী বাইজিদ একজন নেশাগ্রস্ত লোক, সে প্রায় সময় নেশা করে থাকে, দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাগ্নিকে অত্যাচার করে আসছিল, আমি তার সঠিক বিচার দাবি করছি।
ঘটনার বিষয়ে স্বামী বাইজিদের সাথে যোগাযোগ করার কত চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি, বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীর দাবি মেয়েটি খুব ভালো ছিল, তাদের দেড় বছরের একটি সন্তান রয়েছে, এলাকায় তাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন দরবার সালিশ হয়েছে, প্রশাসনের নিকট আমরা সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানাচ্ছি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতাল থেকে মৃত ব্যক্তির খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ আনা হয়,লাশটি ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলের মর্গে পাঠানো
হয়,পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়া দিন রয়েছে।