বিনোদন ডেস্কঃ মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাড়িতে আততায়ীর হাতে জখম হওয়ার পর লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলিউড নবাব সাইফ আলী খানকে। সেখানে দীর্ঘ ৫ দিন চিকিৎসা গ্রহণ শেষে আজ বাড়ি ফিরেছেন এই অভিনেতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে ২০ জন পুলিশ কর্মকর্তার একটি দল চারটি পুলিশ ভ্যানে করে বান্দ্রার সতগুরু শরণ বিল্ডিংয়ে পৌঁছায় এবং অভিযুক্ত শেহজাদকে নিয়ে পুরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, সাইফের ফ্ল্যাটের পরে অভিযুক্তকে ঘটনাস্থল থেকে বান্দ্রা রেলস্টেশনেও নিয়ে যাওয়া হয়, যেখান থেকে সে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে সে পুলিশকে একটি বাগানে নিয়ে যায়, যেখানে হামলার পর সে রাত কাটিয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সাইফের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায় আততায়ী। অভিযোগ, এ সময় সাইফ আলি খান তাকে বাধা দিতে গেলে ছুরি দিয়ে একাধিকবার আঘাত করা হয় তাকে। রাত আড়াইটা নাগাদ রক্তাক্ত সাইফকে অটোরিক্সায় করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়, তার মেরুদণ্ড থেকে ছুরির ৩ ইঞ্চি লম্বা একটি টুকরো বের করা হয় এবং স্পাইনাল ফ্লুইড লিক বন্ধ করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরে অস্ত্রোপচারের সময় পাওয়া ওই ধারালো বস্তুটির ছবিও প্রকাশ করে।
পুলিশি তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্তের নাম শরিফুল ইসলাম শেহজাদ, যিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয় দাস’ ছদ্মনাম গ্রহণ করেছিলেন। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান এবং ঠাণেতে আত্মগোপন করেন। গত রোববার মুম্বাই পুলিশের একটি বিশেষ দল তাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং বান্দ্রা থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হামলার শিকার হওয়ার আগেই সাইফ আলি খান তার সাম্প্রতিক তেলেগু ছবি দেভারা-তে কাজ করেছিলেন, যেখানে তিনি জুনিয়র এনটিআর এবং জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। এই ঘটনার পর সাইফের ভক্তরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন এবং পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
প্রসঙ্গত, সাইফের ওপর হামলার পর কারিনা কাপুর খান সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট করেছিলেন। সাইফ-পত্নী লেখেন, ‘আমাদের পরিবারের জন্য এটা একটা ভয়ঙ্কর দিন। এখনও পুরো বিষয়টা আমাদের বোধগম্যই হচ্ছে না। এমনটা ঘটেছে তা মেনে নিতে সময় লাগছে। আমি পাপারাজ্জি এবং সকল সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ জানাবো নানা অনুমান করা যেন বন্ধ করে।’ সেই সঙ্গে কারিনা সবাইকে ধন্যবাদও জানান। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সারাক্ষণ তাদের পাশে থাকার জন্য। সেই সঙ্গে নায়িকা লেখেন, ‘এ যেন আমাদের খ্যাতির বিড়ম্বনা। আমাদের ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু সারাক্ষণ আমাদের ছবি তোলা আমরা কোথায় যাচ্ছি না যাচ্ছি তার ভিডিও পোস্ট করা তা আমাদের জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।