ক্রীড়া ডেস্কঃ সেই ২০১২ সালে সর্বশেষ রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর পেরিয়ে গেছে এক যুগের বেশি সময়। অনেকের ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যায় এমন লম্বা সময়ে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততার সঙ্গে বিপুল তারকাখ্যাতি কোহলিকে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলো। রান খরায় ভুগতে থাকা এই ব্যাটিং গ্রেট অনেকটা চাপে পড়েই ফিরছেন রঞ্জিতে।
জানা গেছে, দলের মধ্যে ‘শৃঙ্খলা, একতা ও ইতিবাচক পরিবেশ’ নিশ্চিত করতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে বিসিসিআই। এই ১০ নির্দেশনার একটি ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ।
নির্দেশনার প্রভাবে রোহিত শর্মা, শুবমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজার রঞ্জি ট্রফিতে খেলার খবরের পর এবার জানা গেল ১২ বছর পর রঞ্জি ট্রফিতে ফিরছেন বিরাট কোহলিও।
কোহলি শেষ রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন ২০১২ সালে। এরপর অজানা কারণ দেখিয়ে রঞ্জি ট্রফি থেকে সরে যান তিনি।
সাম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট দল ধারাবাহিক খারাপ পারফর্মেন্সের কারণে সমালোচনার শিকার হচ্ছে। একের পর এক ব্যর্থ সিরিজের পর এবার রঞ্জি ট্রফিতে খেলে নিজেদের ফর্ম ফিরে পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন কোহলি, রোহিতরা।
ইএসপিএনক্রিকইনফোকে এই খবর জানিয়েছেন দিল্লি কোচ সরনদীপ সিং। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি রেলওয়ের বিপক্ষে খেলবে তার দল। সেখানে সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির খেলার সম্ভাবনা দৃঢ়। এর আগে ২৩ জানুয়ারি দিল্লির হয়ে রঞ্জি টুর্নামেন্টে মাঠে নামবেন ঋশভ পন্ত ও রবীন্দ্র জাদেজা।
কোহলি ২৩ জানুয়ারি দিল্লির হয়ে খেলতে পারতেন। তবে তিনি বোর্ডকে জানিয়েছেন, ইনজুরি থেকে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টেস্টে ব্যথা কমানোর ইনজেকশনও নিয়েছিলেন কোহলি।
কোহলি ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হার এবং বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেও ব্যর্থ ছিলেন। কোহলি ছাড়াও ভারতের ওই দুই সিরিজে ব্যাট হাতে রান পাননি রোহিত শর্মা, শুবমান গিলসহ বাকিরাও।
ন্যাশনাল ক্রিকেটারদের শৃঙ্খলা, একতা এবং ইতিবাচক পরিবেশ নিশ্চিত করতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বিসিসিআই। এর ফলে, এখন থেকে জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হতে এবং কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্থান পেতে ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ খেলতে হবে।