ক্রীড়া ডেস্কঃ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট বিশ্বকাপ। আরও আলাদা করে বলতে গেলে ওয়ানডে বিশ্বকাপকেই ধরা হয় আইসিসির সবচেয়ে বড় ইভেন্ট হিসেবে। সঙ্গত কারণেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোনোভাবেই আইসিসির সবচেয়ে বড় আয়োজন নয়। যদিও বিশ্বকাপের চাইতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে বেশি কঠিন মনে করেন টেম্বা বাভুমা।এক্ষেত্রে বিশ্বকাপের চেয়েও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে বেশি প্রতিযোগিতামূলক ও কঠিন বলে মনে করেন তিনি।
বিশ্বকাপে আসরভেদে একাধিক ফরম্যাটে খেলা হয়েছে। গ্রুপ, রাউন্ড রবিন বা লিগ সিস্টেমে। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গ্রুপভিত্তিক প্যাটার্নের বাইরে কোনো আসর গড়ায়নি। দলের সংখ্যায় বিশ্বকাপের আসর বেশ ভারী। সর্বোচ্চ ১৬ থেকে সর্বনিম্ন ১০ দল খেলেছে বিশ্বকাপে। অপরদিকে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দুই আসরে (২০০২ ও ২০০৪) সর্বোচ্চ ১২টি দল অংশ নিয়েছিল। সবশেষ তিন আসরে ৮টি দল অংশ নিয়েছিল যার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এবারও।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে ৮ দল। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে মাঠে নামবে প্রোটিয়ারা।
লাহোরে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাভুমা বলেন, বিশ্বকাপে দলগুলো নিজেদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা, পুনরায় তৈরি হওয়া এবং মোমেন্টাম তৈরি করার মতো সময় পায়। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোনো ভুল পদক্ষেপের সুযোগ নেই। হয় টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভালো করবেন, নয়তো বাদ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা করলে এখানেই চ্যালেঞ্জ বেশি।
এদিকে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির জন্য ভালো সুযোগ হিসেবেই দেখছেন প্রটিয়া অধিনায়ক। বলেন, এই ত্রিদেশীয় সিরিজটা পাকিস্তানে আমাদের দল গুছিয়ে নেয়ার জন্য ভালো সুযোগ এনে দিয়েছে। একই সঙ্গে তরুণদের জন্যও এটা ভালো একটা মঞ্চ।
সবশেষ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ১০ দল। টুর্নামেন্ট ছিল লিগ পদ্ধতির। প্রতিটি দল ৯ ম্যাচ করে খেলার সুযোগ পেয়েছে। পয়েন্ট তালিকায় সেরা চারে থাকা দল উঠেছিল সেমিফাইনালে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ৪ দল নিয়ে একটা করে গ্রুপ হওয়ায় প্রতি দলের জন্য সুযোগ মাত্র ৩ ম্যাচের। গ্রুপের চার দলের মধ্যে সেরা দুইয়ে থাকতে পারলেই শুধু সেমিফাইনাল খেলা যাবে, এক ম্যাচ হারলেই তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের ম্যাচের দিকে। বড় প্রভাবক হয়ে উঠতে পারে রান রেটও। সার্বিক প্রেক্ষাপটে হয়ত এই কারণেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে বিশ্বকাপের চেয়ে কঠিন বলে মানেন প্রোটিয়া দলপতি।
উল্লেখ্য, আইসিসি ইভেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার অর্জন বলতে একটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতেছিল তারা।