গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার জয়নগর বাজারের পার্শ্বে মুক্তিযোদ্ধা মো. লুৎফর রহমান মৃধা ও তার বড় ছেলে সাংবাদিক মশি শ্রাবণের ওয়ারিশ আনা এবং খরিদকৃত জমি দখল করে গাছ কেটে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে জনৈক হেমায়েত খান ওরফে টুকু খান গং এবং তার দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিস পিটিশন (পিটিশন নং- ৭২/২০২৫) দাখিল করলেও সংশ্লিষ্ট থানা, এসি ল্যান্ড ও সার্ভেয়ার থেকে কোনো আইনী সহায়তা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
মহেশপুর নিবাসী মুক্তিযোদ্ধা মো. লুৎফর রহমান মৃধা ওরফে আউয়াল মৃধার আদালতে দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানাযায়, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার জয়নগর বাজারের পার্শ্বে জনৈক হেমায়েত খান ওরফে টুকু খান এক দল দখলবাজ সন্ত্রাসীদের নিয়ে জোর পূর্বকভাবে সাংবাদিক মশি শ্রাবণের জমি থেকে গাছ কেটে জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনার কাজ শুরু করে। বর্ণিত সম্পত্তিতে তাদের ওয়ারিশ আনা সম্পত্তি রয়েছে এবং তার বড় ছেলে সাংবাদিক মশি শ্রাবণের খরিদকৃত সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু হেমায়েত খান রফিকুল ইসলাম লিটু মৃধার কাছ থেকে কয়েকটি দাগ থেকে বিশ শতাংশ জমি কিনে শুধু একটি দাগের মাঝ অংশ থেকে বিশ শতাংশের অধিক জমি জোর পূর্বক সন্ত্রাসী ও দখলবাজ ভাড়া করে মাটি ও গাছ কেঠে ভবন নির্মাণ শুরু করছে!
মুক্তিযোদ্ধ লুৎফর রহমান ওরফে আউয়াল মৃধা ও তার বড় ছেলে দৈনিক মাতৃভূমি এবং সাপ্তাহিক ফিন্যানশিয়াল মিরর পত্রিকার সম্পাদক- প্রকাশক মশি শ্রাবণ কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলের জায়গাটি মশি শ্রাবণের পারিবারিক ও ওয়ারিশ সম্পত্তি। তিনি তাঁর দুই চাচার সম্পত্তি নিজের নামে ক্রয় করেছেন এবং গাছ লাগিয়েছেন। কিন্তু জনৈক হেমায়েত খান ওরফে টুকু খান জনৈক রফিকুল ইসলাম লিটু থেকে কয়েকটি দাগে কিছু জমি কিনে শুধু একটি দাগ থেকে জোর পূর্বক সম্পত্তির গাছ কেঠে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিকবার ১২/০২/২০২৫ তারিখ ও ১৩/০২/২০২৫ তারিখ বলার পরেও থানা আমলে না নিয়ে বরং আদালতের স্বরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন।
পুলিশের ও স্থানীয় লোকজনের পরামর্শের আলোকে গত ১৭/০২/২০২৫ ইং তারিখে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, গোপালগঞ্জ মিস পিটিশন নং- ৭২/২০২৫ দাখিল করা হয়। আদালত সংশ্লিষ্ট থানা, এসি ল্যান্ড, সার্ভেয়ারকে যথারীতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ প্রদান করলেও বিষয়টিকে কাশিয়ানী থানা এবং সংশ্লিষ্ট কেউ বিষয়টি আমলে নেয়নি। এবিষয়ে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা জরুরি মিটিংয়ে আছে ও হরতাল ডিউটি নিয়ে সকলে ব্যস্ত আছেন বলে এড়িয়ে যান।