বিনোদন ডেস্ক: আসন্ন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের মতামত জানিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। গায়কের এ পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানান নেটিজেনরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে আসিফ আকবর লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জরুরি। এতে রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নতি বোঝা যাবে, মানুষও উপকৃত হবে।’
আসিফের সেই পোস্টের কমেন্টবক্সে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নেটিজেনদের অনেকেই তার মতের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন, অনেকে আবার মতের বিরোধিতা করেছেন।
অনেকের মত, এভাবেই গণতান্ত্রিক চর্চাটা হোক, নয়তো জাতীয় নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান-মেম্বার পদে অনেকক্ষেত্রে যোগ্য ও উপযুক্ত লোক নির্বাচনে ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে।
আবার কেউ কেউ লিখেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিলে এতে সহিংসতা বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
আল মামুন নামের একজন লিখেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিলে অরাজকতা বেশি সৃষ্টি হবে এবং ফ্যাসিস্টরা সুযোগ পেয়ে যাবে।
মোহাম্মদ সোহেল রানা একাত্মতা প্রকাশ করে লিখেছেন, কৃতজ্ঞতা আসিফ ভাই। আপনাকে এজন্যই পছন্দ হয়। দলের চেয়ে দেশ বড়।
ইউসুফ বাদারি নামের একজন লিখেছেন, জুলাই বিপ্লবে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নয়।
ভিন্নমত দিয়েছেন আলআমিন মোহাম্মদ নামের একজন, সবাই আওয়াজ তুলুন, দলীয় সরকারের অধীনে স্থানীয় বা জাতীয় কোনো ইলেকশনই হওয়া উচিত না।
ইমন খান নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এটা ভালো সিদ্ধান্ত। এই কাজটা হলে ভবিষ্যতে স্বজনপ্রীতি থাকবে না। ’
আরাফাত নামে এক নেটিজেন বলেন, ‘আপনার সাহসী কণ্ঠস্বরের জন্য গর্ববোধ করছি। জাতির সাথে যখনই অন্যায় হবে তখনই আপনাদের বলিষ্ঠ কণ্ঠগুলো গর্জে উঠুক। ’
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি। এই দাবির তিনটি কারণের কথা জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে, দলীয় প্রতীকবিহীন স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার জন্য একে বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজে লাগাতে পারে। এতে দেশজুড়ে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাতে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ অ্যালবাম দিয়ে ব্যাপক পরিচিত পান আসিফ আকবর। শুধুই পরিচিতি নয়, প্রথম অ্যালবাম দিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন তৈরি করেন তিনি। এরপর থেকে তাকে বাংলা গানের যুবরাজ বলা হয়।