হাফসা উত্তরা ঃ রাজধনীর উত্তরার উত্তরখানে নিজ বাসায় হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ খুনের ঘটনায় কথিত ভাবি ও ভাতিজাকে গ্রেফতার করেছে উত্তরখান থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, খুনের কয়েক ঘন্টা পর উত্তরখান থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তাদেরকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করে ঢাকার উত্তরখানে নিয়ে আসে।
এর আগে সোমবার ভোর রাতে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোঃ সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বাথরুমে আটকে রেখে পালিয়ে যায় এই দুই দুর্বৃত্ত। তারা তাকে খুন করে বাথরুমের আটকে রাখে। থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে উত্তরার একটি হাসপাতলে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জানা যায়, সোমবার ভোরে উত্তরার উত্তরখান পুরান পাড়ার একটি বাসার চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
ঐখানকার আশপাশের লোকজন ও বাড়ির মালিকের মাধ্যমে জানা যায়,যে বাসায় সাইফুর রহমান ভূঁইয়া খুন হয়েছেন সেখানে তিনি নিয়মিত থাকেন না, মাঝে মাঝে আসতেন।
গত তিন চার দিন আগে ঐ বাসায় আসেন সাইফুর। ঘটনার দিন এক নারী ও যুবক আসেন তার বাসায়। তাদেরকে সে তার ভাবী ও ভাতিজা পরিচয় দেন।
পরে সোমবার ভোরে ওই দুজন কথিত ভাবী ও ভাতিজা তাকে কুপিয়ে জখম করে বাথরুমে আটকে রেখে ফ্ল্যাটের মূল দরজা বন্ধ করে চলে যায়।
ধারনা করা হচ্ছে শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে আরো জানা যায়, সাইফুর ভূঁইয়ার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ হত্যা কান্ডের পর পরই
ভবনের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এটিকে পর্যালোচনা করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত সাইফুর রহমান ভূঁইয়া স্ত্রী সাদিয়া জানান, তার স্বামী কলেজ থেকে পেনশনের নগদ কয়েক লাখ টাকা পেয়েছে, টাকা পয়সার জের ধরে হয়তো দূর্বৃত্তরা ওনাকে খুন করেছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, তারা স্বামী স্রী ও পরিবার নিয়ে শান্তিনগর এলাকায় থাকেন। তাদের রয়েছে ২ জন পুত্র সন্তান,এক জন ৯বম শ্রেণিতে পড়ে অন্য জনের বয়স ৯ বছর।
তবে কিছুদিন যাবত সে তার স্রীর সাথে বেশী সময় না দিয়ে উত্তরার উত্তরখান থানা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় মাঝে মাঝে একাই সময় কাটাতেন।
সুত্রে আরো জানা যায়, সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে ঐ কলেজের অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে সবাইকে পদত্যাগ করিয়ে নতুন করে শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
সেখানে সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ করা হয়েছিল। সাইফুর রহমান এক সময় রাজনিতীতে বিএনপির মতাদর্শী হলেও কলেজে শিক্ষকদের মধ্যে তার কোন্দলও ছিল।