নিজস্ব প্রতিবেদক:অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে আওয়ামী লীগের দোসররা পাশ্ববর্তী একটি দেশের সহযোগিতায় দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক।
আজ বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুল মাঠে দারুস সালাম থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ও গণমাধ্যমে বসে থাকা আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা বিদেশি প্রভুর সহযোগিতায় বাংলাদেশে
একটি অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করার অপচেষ্টা করছে। তারা চেষ্টা করছে কিভাবে এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণিত করা যায়।
এসময় তিনি বলেন,অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবেনা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে।
ষড়যন্ত্র রুখতে দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আমিনুল হক বলেন,গত ছয় মাসে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্থিতিশীলতা আসেনি। অন্তবর্তী সরকারকে আমরা বার বার বলছি দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন দিন। জনগণ দ্রুত নির্বাচন প্রত্যাশা করছে।
এসময় তিনি আরও বলেন,জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণের সরকারই পারবে স্বৈরাচার হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের মাধ্যমে দেশ পরিপূর্ণ স্বৈরাচার মুক্ত করতে।
এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন,
জনগনকে সাথে নিয়েই আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বাংলাদেশের মানুষের যে মানবিক মূল্যবোধ,সামাজিক মূল্যবোধ,মানুষের যে দৈনন্দিন চাহিদা ও মৌলিক চাহিদাগুলো রয়েছে। সকল চাহিদা পূরণের মাধ্যমেই আমরা বাংলাদেশের মাটিতে একটি সুস্থ ধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করতে পারব।
এসময় তিনি বলেন,আজকে দেশের দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। জিনিসপত্রের দাম দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। কারণ
এখনও পর্যন্ত সিন্ডিকেট স্বৈরাচারের হাতেই রয়েছে। মানুষকে স্বস্তি দিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্য মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে।
এসময় বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন,মানুষ সুষ্ঠুভাবে যাতে ভোট করতে না পারে সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিল শেখ হাসিনা।
সাধারণ মানুষ তখন ভোট দিতে পারেনি।ভয়াবহ নির্বাচন দেখেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মামলা দিয়ে নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছে।বিদেশি প্রভূদের সহযোগিতায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ধ্বংসস্তুপ রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্যই ৩১ দফা রুপরেখা দিয়েছেন। ৩১ দফার রুপরেখার মাধ্যমেই আমরা একটি আগামীর সুন্দর সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারব।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহ্দী আমিন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টির সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য হাফিজুল হাসান শুভ্রর সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুন্সি বজলুল বাসিত আন্জু,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মোস্তফা জামান,মহানগর যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন,এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ, হাজী মোঃ ইউসুফ,আফাজ উদ্দিন,শাহ আলম,মাহাবুব আলম মন্টু,মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, শামীম পারভেজ,মোজাম্মেল হোসেন সেলিম,হুমায়ুন কবির রওশান, আশরাফুজাহান জাহান,রেজাউর রহমান ফাহিম,ডাঃ এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ,মনিরুল আলম রাহিমী,হাজী নাসির উদ্দিন,নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু,এম এস আহমাদ আলী,ইব্রাহিম খলিল, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী,তাসলিমা রিতা, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রবিউল আউয়াল,মাসুদ খান,যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, স্বেচ্ছাসেবকদল উত্তরের আহবায়ক শেখ ফরিদ হোসেন,জাসাস মহানগর সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু,খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন,ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শফিকুর রহমান রতন,মোঃপুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মীর মোঃ কামাল হোসেন, দারুসসালাম থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন ভুট্টো, দারুসসালাম থানা বিএনপিনেতা একেএম নজরুল ইসলাম কোহিনুর, সৈয়দ ওয়াহীদুল আলম লাবু,তুরাগ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্য আব্দুল আলী প্রমুখ।
এরপরে আমিনুল হক পল্লবী ও রুপনগরে পাঁচটি স্পটে ইফতার বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।