বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

ফুটবলের সবচেয়ে দামি একাদশ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯
  • ৩০০ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক, সিটিজেন নিউজ: লেস্টার সিটি থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে এসে চক্রটা পূর্ণ করলেন হ্যারি ম্যাগুয়ার। ৮৮ মিলিয়ন ইউরো দামের ম্যাগুয়ার এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ডিফেন্ডার। তাকে দলে রেখে বিশ্বের সবচেয়ে দামি একাদশটার রূপ এখন কেমন হয় সেটাই দেখার চেষ্টা করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা।

দামি একাদশের ছয় খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে। সমান দুজন করে খেলেন ম্যানচেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে, একজন করে এসেছেন লিভারপুল ও চেলসি থেকে।

দুজন দামি খেলোয়াড় আছেন স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাতে। ফ্রেঞ্চ জায়ান্ট পিএসজিও আকাশচুম্বী খরচ করেছে দুই খেলোয়াড় কিনতে। জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ দৌড়ে পিছিয়ে থাকলেও অন্তত একজন একাদশে রাখতে পেরেছে।

কেপা আরিজাবালাগা

চেলসির এ স্প্যানিশ গোলরক্ষক এখন বিশ্বের দামি গোলকিপার। গত মৌসুমের শুরুতে ৮০ মিলিয়ন ইউরোয় অ্যাথলেটিক বিলবাও থেকে কেপাকে ইংল্যান্ডে উড়িয়ে আনে ব্লুজরা। পেছনে পড়ে যান অ্যালিসন বেকার। কেপার কয়েকসপ্তাহ আগে লিভারপুলে নাম লেখানো ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের দাম ছিল ৭৫ মিলিয়ন ইউরো।

কাইল ওয়াকার

গত কয়েক মৌসুমে রক্ষণ সাজাতে দুহাতে অর্থ ঢেলেছেন ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। তারই ধারাবাহিকতায় দুই মৌসুম আগে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে ম্যানচেস্টারে পা পড়ে কাইল ওয়াকারের। ২০১৭ সালে ইতিহাদে খেলতে আসা ওয়াকারের দাম তখন ছিল ৫৬.৭ মিলিয়ন ইউরো। যা তখনকার সময় পর্যন্ত সবচেয়ে দামি ডিফেন্ডারের রেকর্ড।

ভার্জিল ফন ডিক

কাইল ওয়াকারের রেকর্ড ভেঙ্গেছে যার হাত ধরে তিনি ভার্জিল ফন ডিক। ২০১৭ সালের শীতকালীন দলবদলে সাউদাম্পটন থেকে ৮৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে এ ডাচ ডিফেন্ডারকে কেনায় অনেকেই নাকসিটকে ছিলেন। তবে ফন ডিক দেড় মৌসুমেই প্রমাণ করে ছেড়েছেন তার দাম আদতে একজন ফরোয়ার্ডের চেয়েও বেশি হওয়া উচিত! এরইমধ্যে লিভারপুল রক্ষণকে বানিয়ে রেখেছেন দুর্গ। ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে রেখেছেন বড় ভূমিকা।

হ্যারি ম্যাগুয়ার

টটেনহ্যামে থাকাকালীন সময়ে ম্যাগুয়ারকে খুব করে চেয়েছিলেন ম্যানইউর তৎকালীন কোচ হোসে মরিনহো। রাশিয়া বিশ্বকাপে নজরকাড়ার পর অনেক ক্লাবের নজরেই ছিলেন ইংলিশ ডিফেন্ডার। শেষপর্যন্ত সবার নজর এড়িয়ে বিশ্বের দামি ডিফেন্ডার বানিয়ে তাকে দলে টেনে নিলো ম্যানসিটি।

লুকাস হার্নান্দেজ

সাম্প্রতিক সময়ে দলবদলে খুব একটা অর্থ না ঢাললেও ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডারের প্রতি টান এড়াতে পারেনি বায়ার্ন। তাইতো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে চোখ বন্ধ করে লুকাসের জন্য ৮০ মিলিয়ন ইউরো ঢেলেছে বাভারিয়ানরা।

রদ্রি

মাঝমাঠের শক্তি বাড়াতে অ্যাটলেটিকো থেকে স্প্যানিয়ার্ড মিডফিল্ডারকে কিনেছে ম্যানসিটি। ৭০ মিলিয়ন ইউরোতে কেনা রদ্রি কেপার পর দ্বিতীয় দামি স্প্যানিশ ফুটবলার।

পল পগবা

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামি মিডফিল্ডার। বিশ্বকাপজয়ী পগবাকে কিনতে জুভেন্টাসকে ১০৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছিল ম্যানইউ। রিয়াল যেভাবে পেছনে লেগে আছে হয়তো দামটা ভবিষ্যতে হয়তো বেশি করেই লেখা লাগতে পারে।

ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং

ভবিষ্যতের তারকা। গত মৌসুমে আয়াক্সের হয়ে যেভাবে আলো ছড়িয়েছেন, ডাচ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের জন্য ৭৫ মিলিয়ন ইউরো গুণতে খুব একটা ভাবতে হয়নি বার্সাকে।

ফিলিপে কৌতিনহো

সবমিলিয়ে ১৬০ মিলিয়ন দামের কৌতিনহোকে ভাবা হচ্ছিল বার্সায় নেইমারের বিকল্প। তবে গত মৌসুমে নামের প্রতি খুব একটা সুবিচার করতে পারেননি। তাই এ মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে ধারে অন্য কোনো ক্লাবে পাঠিয়ে দেয়ার কথা ভাবছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। সবকিছু ঠিক থাকলে ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালেই যেতে পারেন তিনি।

নেইমার

অনেক নাটক করে ২০১৭ সালে বার্সা থেকে পিএসজিতে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান তারকা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। ২২২ মিলিয়নে প্যারিসে যাওয়া ফরোয়ার্ডের মন ভেঙে যাওয়ায় আবারও পুরনো ক্লাবে ফেরার গুঞ্জন দিন দিন বাড়ছেই।

কাইলিয়ান এমবাপে

নেইমারের সময়েই মোনাকো থেকে পিএসজি এসেছেন। তখন বলা হচ্ছিল লেনদেনটা ধারের। পরের মৌসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮০ মিলিয়ন খরচ করার পর এমবাপে দ্বিতীয় দামি ফুটবলার করে ঘরে তুলে নেয় প্যারিসের ক্লাবটি। বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ডকে দলে পেতে মরিয়া হয়ে আছে বিশ্বের নামি-দামি সব ক্লাবই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com