আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেন মার্কিন হামলায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত মাসে (আগস্টে) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এক বিমান হামলায় হামজার নিহতের খবর প্রকাশ করে। তবে তিনি কোথায় কীভাবে নিহত হয়েছেন, সে সম্পর্ক কোনো সঠিক তথ্য ছিল না।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৩০ বছর বয়সী হামজার হদিশ দিতে ১০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে হোয়াইট হাউস। একই সঙ্গে তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। মনে করা হতো, হামজা বিন লাদেন তার পিতা ওসামা বিন লাদেনের সম্ভাব্য উত্তরসূরী। এছাড়া গত বছরের নভেম্বরে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয় সৌদি আরব।
হামজার বয়স ৩০ বছর বলে ধারণা করা হয়। বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোতে হামলা চালাতে অনুসারীদের আহ্বান জানিয়ে অডিও-ভিডিও বার্তা দিয়ে আসছিলেন হামজা।
হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানান, হামজা বিন লাদেন আল কায়দার শীর্ষ পর্যায়ের সদস্য এবং ওসামা বিন লাদেনের ছেলে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের চালানো এক সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, হামজা বিন লাদেনের মৃত্যু আল কায়দার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বপদে শূন্যতা তৈরি করবে এবং তার বাবার সঙ্গে হামজার প্রতীকী যোগাযোগের জায়গাটাও তার মৃত্যুতে ধাক্কা খাবে। শুধু তাই নয়, তার মৃত্যুতে দলের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হবে।
এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার লাদেনের ছেলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। এক মার্কিন সংবাদমধ্যমকে দেয়া সাক্ষাত্কারে এ কথা স্বীকার করেন তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রই তাকে হত্যা করেছে কিনা, সে ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ওসামা বিন লাদেনের ২৩টি সন্তানের মধ্যে ১৫তম সন্তান ছিলেন হামজা। তিনি লাদেনের তৃতীয় স্ত্রীর ছেলে। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লাদেনকে হত্যার পর বেশকিছু তথ্য, ভিডিও ফুটেজ ও বহু ছবি বাজেয়াপ্ত করেছিল মার্কিন সেনা। সেগুলো খতিয়ে দেখে মার্কিন তদন্তকারীদের মত ছিল, লাদেনের অত্যন্ত প্রিয় সন্তান ছিলেন হামজা। তাকে জেহাদের যুবরাজও বলা হতো।
হামজা বিন লাদেনের জন্ম ১৯৮৯ সালে। ১৯৯৬ সালে যখন ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানে চলে যান ও আমেরিকার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন, তখন হামজাও সঙ্গে ছিলেন। সে সময় একাধিক ভিডিওতে লাদেনের সঙ্গে হামজাকে দেখা গিয়েছিল।