নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক খন্দকার নাসির উদ্দীনকে বিতর্কিত করতে একটি স্বার্থান্বেস্বী মহল ওঠেপড়ে লেগেছে। সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করলেও ভিসিকে দুর্নীতিবাজ হিসাবে প্রমান করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে ওই গোষ্ঠিটি। তারা বিভিন্ন পত্রিকায় ঢালাও মিথ্যাচার করে ঘোলা জলে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
সম্প্রতি , ফেইসবুকে আপত্তিকর লেখালেখির অভিযোগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ডেইলি সানের ক্যাম্পাস সাংবাদিক ও ছাত্রী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের সাথে প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি করা এবং আগেও বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রশাসনকে নিয়ে ওই ছাত্রীর দেওয়া স্ট্যাটাস এবং কমেন্টসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচল অবস্থা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে ১ম মেয়াদে এবং চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে পরবর্তী চার বছরের জন্য বশেমুরবিপ্রবি’র দ্বিতীয় ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ,পদোন্নতি এসব বিষয় নিয়ে কারো কোন অভিযোগ না থাকলেও একটি স্বার্থান্বেস্বী মহল ক্ষুব্ধ ছিলেন। তারা বে-আইনি পথে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারায় মনে মনে ফুঁসছিলেন। শুধু তাইই নয়-ভিসির প্রতিটি উদ্যোগেই তারা ভিন্নমত পোষন করে প্রশাসনিক কাজে বাধার সৃষ্টি করছিলেন।
জানা গেছে, মরুর ন্যায় ধু ধু বালু মাঠ আর একটা একাডেমিক ভবন ছাড়া দৃশ্যমান কিছুই ছিল না। ছিল না তেমন কোন সতেজ প্রাণের সঞ্চার। গ্রীষ্মের প্রখরতায় ঝাঁঝিয়ে থাকতো ক্যাম্পাসের নিস্পৃহ বালুময় ৫৫ একর।
বশেমুরবিপ্রবি আসন সংখ্যায় দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১১ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি বালু ভরাটকৃত ৫৫ একর জমির উপর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। যা এখন দেশের সর্ববৃহৎ উদ্ভিদ সংগ্রহশালা।
মানসিক বিকারগ্রস্থ কিছু ব্যক্তি নিজেদের ক্ষমতাবাজী ও অনৈতিক সুবিধা হাসিল করতে না পেরে এহেন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ধ্বংস করতে চান। এ দিকে সুনামধন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসির বিরুদ্ধে পত্র পত্রিকায় নেতিবাচক সংবাদ প্রচfর করে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করায় সুশীল সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা এজন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেছেন।