আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ট্যাঙ্কার আটক থেকে শুরু করে সম্প্রতি সৌদির দুটি রাষ্ট্রীয় তেল স্থাপনায় হামলার জেরে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।
সম্প্রতি সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানির দুটি প্রধানতম তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনে সৌদি জোটের সঙ্গে যুদ্ধরত হুথি বিদ্রোহীগোষ্ঠী। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামলার নেপথ্যে আছে ইরান আর সৌদি দাবি করছে যে ড্রোন দিয়ে হামলা হয়েছে তা ইরানের তৈরি।
সৌদির জ্বালানিমন্ত্রী জানিয়েছেন, হামলার পর তাদের তেল উৎপাদন অর্ধেক কমেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার জন্য ‘চিরশত্রু’ ইরানকে দায়ী করে ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরবের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে ওয়াশিংটন দাবি করছে হামলা হয়েছে ইরানের দক্ষিণ অঞ্চল থেকে।
বরাবরের মতো ইরান সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ইরানে সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসন চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানা গেছে। এদিকে ইরানও হুমকি দিয়ে রেখেছে, তাদের ভূমিতে হামলা হলে সর্বাত্মক হামলার মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশন শুরু হবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে। এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নিউইয়র্কের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় বসবে। কিন্তু পরে আলোচনার বিষয়টি নাকচ করে দেয় তেহরান।