ক্রিড়া ডেস্ক: ভ্রমণক্লান্তি কাটিয়ে মাঠে নামা হয়নি সাকিব আল হাসানের। তবে তাকাই ছাড়াই সিপিএলে বড় জয় পেয়েছে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ৬৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বার্বাডোজ। এ জয়ে আরও জোরালো হয়েছে দলটির প্লেঅফ খেলার সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ কেনসিংটন ওভালে ত্রিনিদাদকে স্বাগত জানায় বার্বাডোজ। তবে মাঠে সে অর্থে কোনো আতিথেয়তা পায়নি ত্রিনিদাদ। বার্বাডোজের টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের ফিফটির বিপরীতে কোনো জবাব খুঁজে পায়নি ত্রিনিদাদের বোলাররা।
প্রথমে দুই ওপেনার জনসন চার্লস এবং জোনাথন কার্টারের ব্যাট থেকে আসে জোড়া ফিফটি। আর শেষদিকে নেমে মাত্র ২০ বলে ৬৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন জেপি ডুমিনি। এ তিনজনের ফিফটিতে বার্বাডোজ পায় ১৯২ রানের সংগ্রহ। বিপরীতে ত্রিনিদাদ অলআউট হয় মাত্র ১২৯ রানে।
ঘরের মাঠের উইকেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকায় টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বার্বাডোজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। দুই ওপেনার চার্লস ও কার্টার মিলে ১৩.৫ ওভারে গড়েন ১১০ রানের জুটি। দুই বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন দুজনই। কার্টারের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ বলে ৫১ রানের ইনিংস, ৩৯ বলে ৫৮ রান করেন চার্লস।
দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে চার্লস ফিরে যাওয়ার সময় বার্বাডোজের সংগ্রহ ১৪.১ ওভারে ২ উইকেটে ১১৩ রান। একই ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন অ্যালেক্স হেলসও। তখন ৩ বলে ২ রান করে অপরাজিত ডুমিনি।
ইনিংসের বাকি ৩০ বলে আরও ৭৬ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। এর মধ্যে মাত্র ১৭ বলে ৬২ রান আসে ডুমিনির ব্যাট থেকে। ইনিংসের ১৬তম ওভারে সুনিল নারিনের বিপক্ষে অ্যাশলে নার্স নিতে পারেন কেবল ২ রান। পরের ওভারে ১ ছক্কায় ১১ রান তোলেন ডুমিনি।
ফলে ১৭ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১২৯ রান। এরপরই শুরু হয় মূল ঝড়। আলি খানের করা ১৮তম ওভারে ৩টি ছক্কা ও ১ চারের মারে ২৪ রান তোলেন ডুমিনি। পরের ওভারে জিমি নিশামকে ৩টি চার ও ২ ছয়ের মারে তোলেন আরও ২৫ রান। সে ওভারের তৃতীয় বলে লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ১৫ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন ডুমিনি। যা কি-না সিপিএল ইতিহাসের দ্রুততম ফিফটি।
তবে অপরাজিত থাকতে পারেননি ডুমিনি। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে ৬ ছক্কা মেরে, পরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ৪টি চার ও ৭টি ছক্কার মারে ২০ বলের ৬৫ রানের ঝড় তুলে যান ডুমিনি। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় সংগ্রহটাকে ১৯২ রানে নিয়ে ঠেকান র্যায়মন রেইফার।
রান তাড়া করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্রের লেগস্পিনার হেইডেন ওয়ালশের ঘুর্ণি তোপে পড়ে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। নেপালি লেগস্পিনার স্বন্দীপ লামিচানের পরিবর্তে খেলতে নেমে ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৯ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন ওয়ালশ। এছাড়া ব্যাট হাতে ঝড় তোলা ডুমিনিও নেন ২ উইকেট।
ব্যাট হাতে তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি ব্যাটসম্যানদের কেউই। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন ড্যারেন ব্রাভো। শেষতক ১৭.৪ ওভারে ১২৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ত্রিনবাগো।
এত বড় পরাজয়ের পরেও অবশ্য পয়েন্ট টেবিলের নিজেদের দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে ত্রিনবাগো। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৯। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৩ জয়ে সাকিবের বার্বাডোজের ঝুলিতে রয়েছে ৬ পয়েন্ট, অবস্থান চার নম্বরে।