আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে একদিনেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। পুলিশ এবং হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদসহ অন্যান্য স্থানে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের দ্বিতীয় দিনে শহরজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
প্রথমদিকে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিক্ষোভকারীরা রাজপথে নামলেও পরবর্তীতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে বিক্ষোভ সহিংসতায় রুপ নেয়। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, নাসিরিয়াতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সাত বিক্ষোভকারী এবং এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।
এছাড়া আমারা শহরে আরও চারজন নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মেহেদী কারফিউ জারি করার পরে বাগদাদের কেন্দ্রে টহল দিতে শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে বাগদাদের বিভিন্ন স্থানে এখনও বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে।
মঙ্গলবার চাকরির সংকট, নিম্নমানের সেবা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় ইতোমধ্যেই ইরাকের আরও তিন শহরে কারফিউ জারি রয়েছে।
ওই দিনই বিক্ষোভে অংশ নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দু’জন নিহত হয়। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে জল কামান ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। অপরদিকে বুধবার এক শিশুসহ আরও পাঁচজন নিহত হয়েছে।
পুলিশ ও বিক্ষোভকীরাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৫টায় বাগদাদে কারফিউ জারি করেন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মেহেদী। পরবর্তী নির্দশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এক বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন আদেল আবদুল মেহেদী। বেশি কিছু এলাকায় সামাজিক মাধ্যম এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মেহেদী ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। তবে এই বিক্ষোভ বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে। এতে নেতৃত্বের অভাব দেখা দিয়েছে। সারাদেশে বিক্ষোভ হলেও তা সংগঠিত নয়।
এক বিবৃতিতে আবদুল মাহদি বলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিকাল ৫টা থেকে বাগদাদে সব ধরনের যান এবং মানুষ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। তবে এই কারফিউয়ের আওতায় থাকবে না বিমানবন্দরে আসা ভ্রমণকারী, অ্যাম্বুলেন্স, সরকারি হাসপাতালের কর্মচারী, বিদ্যুৎ এবং পানি বিভাগ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা।