নিজস্ব প্রতিবেদক:গত মঙ্গলবার প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।এমপিও নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার গণভবনের দিকে তাদের এ পদযাত্রার কথা রয়েছে। এতে কোনো ধরনের বাধা দেয়া হলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে আমরণ অনশন পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বৈষম্যপূর্ণ এমপিও নীতিমালা সংশোধন, স্তরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করার দাবিতে গত তিনদিন থেকে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের পাশে ফুটপাতে বসে শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমরন অনশন পালনের ঘোষণা দেয়া হলেও এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বেলা সাড়ে ১১টায় তারা পদযাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা নীতিমালার অসংঙ্গতি ও বৈষম্যসহ সার্বিক বিষয় তুলে ধরবেন। এতে বাধা দেয়া হলে ফিরে এসে আগামীকাল থেকে আমরন অনশন পালনের ঘোষণা দেয়া হবে।
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাহামুদুন্নবী ডলার জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গত তিন দিন ধরে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও এ দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারের আমলারা নিজেদের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুল তথ্য তুলে ধরছেন। আমাদের মানবেতন জীবনযাপন ও অসংঙ্গতিপূর্ণ নীতিমালার সার্বিক বিষয় তুলে ধরতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার দাবি নিয়ে ৩২ বারের মতো রাজপথে আন্দোলনে নেমেছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলে নন-এমপিও শিক্ষকদের সকল দুঃখ-দুর্দশা কেটে যাবে। এ কারণে আমরা আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হবো। আমাদের এ কার্যক্রমে বাধা দিলে ফিরে এসে কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার থেকে সারাদেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজপথে নেমে আমরণ অনশন পালন করবেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, এমপিওভুক্তি নীতিমালা- ২০১৮ তে বৈষম্যপূর্ণ ও অসংঙ্গতি রয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নতুনভাবে এমপিওভুক্তি করার জন্য বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এটি আমরা মানি না। বৈষম্য আর অসংঙ্গতিপূর্ণ নীতিমালার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অনেক যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এ তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা ৩২ বারের মতো প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনে জড়ো হয়েছি।
এই নীতিমালা বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রকাশিত এমপিওপ্রাপ্ত থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বাদ পড়ার আশংকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব বিষয় তুলে ধরতে চান তারা।