অনলাইন ডেস্ক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, আজ জন্মদিন উৎসবের নয়, বেদনাদায়ক চিত্তে শেখ রাসেলকে জানার দিন। ১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কোল আলোকিত করে ফুটফুটে শেখ রাসেলের জন্ম হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মুরাদ হাসান বলেন, শেখ রাসেলের জীবনকাল এতই ছোট, এতই ক্ষণিকের ছিল যা বাঙালি জাতিকে মর্মাহত করেছিল। মাত্র ১০ বছর বয়সে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের হাতে বঙ্গবন্ধুর খুব আদরের সন্তান শেখ রাসেলকে নিহত হতে হয়েছিল। বাঙালি জাতিসহ সারাবিশ্ব সেই ১৫ আগস্টের জাতির পিতার সপরিবারের ভয়ঙ্কর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বিস্মিত হয়েছিল।
ইতিহাস উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেদিন বিশ্বনেতারা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডকে মেনে নিতে পারেনি এবং ধিক্কার জানিয়েছিল বাঙালি জাতিকে। বিশ্ব নেতারা সেদিন বলেছিল, যে দেশের মানুষ তাদের জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারে তাদের বিশ্বাস করা যায় না, তারা মানুষ না অমানুষ। সাথে সাথে বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ইতিহাসের সাথে তুলনা করে বলেন, সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। আজ শেখ রাসেলের জন্মদিন খুব আনন্দের সাথে পুরো বাংলাদেশ পালন করত, কিন্তু খুনি জিয়া বেঈমান মোশতাকরা তা চিরতরে শেষ করে দিয়েছিল ১৫ আগস্ট।
৫৫তম জন্মদিনে ছোট্ট রাসেলের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, শেখ রাসেল জাতির পিতাকে খুব বেশি কাছে পাননি, কিন্তু সে জাতির পিতাকে খুবই অনুসরণ করতেন। শিশু বয়সেই মুজিব কোর্ট, প্রিন্স স্যুট পরতেন এবং জাতির পিতার মতো উন্মুক্ত চলাফেরা করতে পছন্দ করতেন।
শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে জাতির পিতাকে হারালাম, হারলাম বাঙালি জাতির গৌরবের ইতিহাস। বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল খুনি জিয়াউর রহমান। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সব অর্জন ধুলিসাৎ করেছিল খুনি জিয়া।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির ক্রান্তিলগ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দিশেহারা জাতি আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটকে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানান তিনি।
আলোচনা সভায় অন্যদের মাঝে বিশিষ্ট নাট্যজন ম. হামিদ, ঢাক দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যনির্বাহী সভাপতি ফালগুনী হামিদ বক্তব্য রাখেন।