ফরিদপুর প্র্র্রতিনিধি: সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত নির্ভিক সাংবাদিক গৌতম দাসের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার। ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর শহরে সমকাল ব্যুরো অফিসে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় গৌতম দাসকে।
এ হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সাংবাদিকসহ ফরিদপুরের সর্বস্তরের মানুষ। পরে এ হত্যা মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন গৌতম দাস হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নয়জন আসামির সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। পরে আপিলে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখে বাকি চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর শহরের প্রধান সড়ক মুজিব সড়কের সংস্কার কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হন তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদপুষ্ট ঠিকাদার গোষ্ঠী। চিহ্নিত ওই ঠিকাদারদের যোগসাজশে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক গৌতমকে হত্যা করে বলে আদালতে প্রমাণিত হয়।
গৌতম দাস দৈনিক প্রথম আলোর ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুর তিন মাস আগে ২০০৫ সালের আগস্টে তিনি প্রথম আলো ছেড়ে দৈনিক সমকালের ফরিদপুর অফিসের ব্যুরো প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।
তার মৃত্যু বার্ষিকীতে ফরিদপুর ও তার জন্মস্থান জেলার ভাঙ্গা উপজেলার চন্ডিদাসদী গ্রামে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চন্ডিদাসদী গ্রামে গৌতমের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। বেলা ১১টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে গৌতম দাসের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভা।
গৌতম দাসের স্ত্রী দিপালী দাসের উদ্যোগে দুপুরে ফরিদপুর শহরের শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া গৌতমের ভাই-বোনদের উদ্যোগে ভাঙ্গার চন্ডিদাসদী গ্রামে পারিবারিকভাবে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।