লাইফস্টাইল ডেস্ক: সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে প্রতিদিনের অনিয়ম, যখন তখন ডায়েট ভাঙার কুপ্রভাব অনায়াসেই নাকি ঢেকে দিতে পারে।
প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা রসুনের অনেক কার্যকরী দিক রয়েছে। খালি পেটে এটি খেলে এর রস সহজে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে পারে বেশি। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মেটাবলিক রেটও একটু বেশি থাকে। তাই খালিপেটে এটি খেলে উপকার মেলে।
ক্রনিক ঠান্ডা লাগার অসুখ যাদের, খালিপেটে এককোয়া রসুন তাদের জন্য খুব উপকারী। একটানা দু’সপ্তাহ সকালে রসুন খেলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেকটা কমে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা রসুন রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে রসুন।
শরীরকে ডিটক্সিফাই করার কাজে লাগে রসুন। সকালে খালিপেটে রসুনের কোয়া খেলে সারা রাত ধরে চলা বিপাকক্রিয়ার কাজ যেমন উন্নত হয়, তেমনই শরীরের দূষিত টক্সিনও মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে।
হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে রসুন বিশেষ কার্যকরী। হৃদস্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে ও হৃদপেশীর দেয়ালে চাপ কমাতে কাজে আসে এটি।
রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে রসুন। কমায় রক্তবাহ নালীর উপর রক্তের চাপও। তাই উচ্চ রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে থাকুক রসুন।
কিছু ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ- যেমন ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, হুপিং কাফ ইত্যাদি প্রতিরোধে রসুনের ভূমিকা অনেক। স্নায়বিক চাপ কমিয়ে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সক্ষম এই রসুন।
যকৃত ও মূত্রাশয়কে নিজের কাজ করতে সাহায্য করে রসুন। এছাড়া পেটের নানা গোলমাল ঠেকাতে, হজমের সমস্যা মেটাতেও রসুন বিশেষ ভূমিকা পালন করে।