অনলাইন ডেস্ক: দিল্লিতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ভারত। ভারত অধিকৃত কাশ্মির ইস্যুতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের বক্তব্যের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে সোমবার তাকে তলব করা হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ভাষণ দেন এরদোয়ান। ভাষণে কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে থাকার ঘোষণা দেন তিনি। এরদোয়ান বলেন, পাকিস্তানকে তিনি নিজ দেশের মতোই মনে করেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, কয়েকশ বছর আগে তুরস্কের কানাকালেতে যে ধরনের হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল একই ঘটনা ঘটছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে। এর বিরুদ্ধে আঙ্কারা সব সময় প্রতিবাদ করে যাবে। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনও কানাকালের সেই দুঃসময়ে উপমহাদেশের মুসলমানদের সমর্থনের কথা ভুলবো না। যে পাকিস্তানিরা আমাদের জন্য এত সমর্থন দিয়েছেন, দোয়া করেছেন আমরা তাদেরকে কিভাবে ভুলে যাবো? আমাদের বন্ধুত্ব ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে নয় বরং এর ভিত্তি হলো ভালোবাসা। আজকে কাশ্মির ইস্যুকে পাকিস্তান যেভাবে দেখছে আমরাও ঠিক একইভাবে দেখছি। আমরা অতীতের মতো ভবিষ্যতেও পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে যাবো।’
তিনি বলেন, ‘কাশ্মিরে আমাদের ভাই-বোনেরা কয়েক দশক ধরে চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে একতরফা পদক্ষেপের কারণে সে দুর্ভোগ বহুগুণে বেড়েছে। সহিংসতা অথবা নির্যাতনের মাধ্যমে নয় বরং কাশ্মির সমস্যার সমাধান হতে হবে ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে। এ ধরনের সমাধান সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করবে।’
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে কাশ্মির ইস্যুতে এরদোয়ানের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয় দিল্লি। এ ঘটনায় দিল্লিতে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত সাকির ওজগান তরুণলারকে তলব করে ভারত জানিয়েছে, এরদোয়ানের ওই বক্তব্যের ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এরদোয়ান যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে কাশ্মির নিয়ে তার বোঝাপড়ায় যে ঘাটতি রয়েছে, এটা পরিষ্কার।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেছেন, এরদোয়ানের মন্তব্য ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে তুরস্কের হস্তক্ষেপের নতুন দৃষ্টান্ত। দিল্লির কাছে এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। সূত্র: রয়টার্স, পার্স টুডে।