নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিক ভাবে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১২ শতাংশ। খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, করোনার কারণে দেশে পণ্য সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে বাড়ে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে বৈশ্বিক ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমরা পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করি। কাঁচামাল আমদানি ক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি। পদ্মা সেতুর স্প্যান এখনো দুই একটা বাকি রয়েছে। সেগুলো চীনের উহানে তৈরি হয়। ফলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ।
খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ২২ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম। পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গীস।