নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান পরিস্থিতিতে কোনো গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমাজের ধনী ও বিত্তবানদের আহ্বান জানাই- মানবিক বিপর্যয়ের এই দিনে আপনারা যার যার অবস্থান থেকে খেটেখাওয়া অসহায়-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী রোববার দুপুরে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, অতীত ইতিহাস থেকে লক্ষ্য করা যায়, এ দেশের জনগণ সব সময় ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে। কোনো দুর্যোগের কাছেই তারা পরাজিত হয়নি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণের সুখ-দুঃখ আবেগকে ধারণ করেই রাজনীতি করে। বৈশ্বিক এ সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক সব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা-কর্মসূচি গ্রহণ করছেন। যতদিন এ সংকট থাকবে শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ততদিন জনগণের পাশে থাকবে। একই সঙ্গে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম সারা দেশে অব্যাহত থাকবে। মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসে সারা বিশ্ব মারাত্মক সংকটের মুখে।
থমকে গেছে সব ধরনের স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রা অবশ্যম্ভাবী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের সচেতনতামূলক ও সামাজিক কর্মসূচি সারা দেশে চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দলের নেতাকর্মীরা সারা দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী বিতরণ করছেন। খেটেখাওয়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সারা দেশে আমাদের দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ যারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন- তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংগঠনের কাছে সামগ্রী বিতরণ করা হয়।