বিনোদন প্রতিবেদক : এ যেন ঘনিষ্ঠ স্বজনের মৃত্যু সংবাদ! কাজের সূত্রে পরিচয়। পরিচয় থেকেই পরস্পরের প্রতি মমত্ববোধ, আরো বেশি ঘনিষ্ঠতা। আজ হঠাৎ সেই সম্পর্কের অপরপ্রান্তের মানুষটি চলে গেলেন অনন্তলোকে। ইরফান খানের মৃত্যুতে তাই বাকরুদ্ধ নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
প্রতিবেদকের ফোন পেয়েই ‘কথা বলার ভাষা নেই’ বললেন এই নির্মাতা। এরপর ফোনের অপরপ্রান্তে কিছুক্ষণ নীরবতা। হঠাৎ সেই নীরবতা ভেঙে শোনা গেল ফারুকীর বেদনাবিধুর কণ্ঠ: ‘এমন একটি খবরের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। হঠাৎ যেন মাথায় বাজ পড়লো! কি বলবো- ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। তার (ইরফান খান) সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, রয়েছে মধুর স্মৃতি। এখন আমি কিছুই বলতে পারছি না।’
ইরফান খানকে নিয়ে ফারুকী নির্মাণ করেন ‘ডুব’। সিনেমাটি প্রশংসিত হয়। ইরফানের বিপরীতে ছিলেন তিশা। ফারুকীর গল্পে মুগ্ধ হয়ে এই সিনেমার একটি অংশ প্রযোজনা করেছিলেন ইরফান খান। আজ সবই স্মৃতি।
মুম্বাইয়ের ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ইরফান খান। গতকাল মঙ্গলবার তার মুখপাত্র জানায়, কোলন ইনফেকশনের কারণে অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিউরোন্ডোক্রেইন রোগে ভুগছিলেন ইরফান। ২০১৮ সালে প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান তিনি। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা নিতে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন সেখানেই অবস্থান করেন। পাশাপাশি সিনেমা থেকেও দূরে ছিলেন এই অভিনেতা। গত মার্চে এই অভিনেতার ‘আংরেজি মিডিয়াম’ সিনেমাটি মুক্তি পায়।
গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) জয়পুর শহরে ইরফানের মা সায়ীদা বেগমের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে লকডাউন চলছে। সে কারণে বিদায়বেলা মায়ের পাশে থাকতে পারেননি ইরফান খান। যদিও ইরফানের অসুস্থতাকেই কারণ হিসেবে বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে ভিডিওতে মায়ের শেষকৃত্য দেখেছেন তিনি।