ক্রীড়া ডেস্ক : করোনাভাইরাস থেকে খেলোয়াড়দের সুরক্ষিত রাখার জন্য সকলপ্রকার খেলাধুলা বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় করোনা থেকে নিরাপদ থাকতে সবাই গৃহবন্দি হয়ে সময় কাটাচ্ছেন। খেলাধুলা না থাকলেও কিছু সময় জিম, ফিটনেস ট্রেনিং করে সময় পার করছেন তারা। তবে দিনের বেশিরভাগ সময় অলস কাটাতে হচ্ছে।
আর এই অলস সময় অনেক ক্রীড়াবিদ ভক্তদের সাথে পার করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে লাইভে আসছেন। সাধারণত ইউটিউব বা ইন্সটাগ্রামে দুইজন ক্রিকেটার একসঙ্গে লাইভ সেশনে আড্ডা দিয়ে থাকেন। নিজেদের কাজের আপডেট দেওয়ার পাশাপাশি, করোনা সচেতনতা, নিজেদের ক্যারিয়ারের অব্যক্ত কথা তুলে ধরছেন তারা। এ সময় তারা ভক্তদের প্রশ্নের উত্তরও দিয়ে থাকেন। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে এটি একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার এই ট্রেন্ডে যুক্ত হচ্ছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাও।
বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল খান শনিবার (২ মে) রাত ১০টায় আসবেন ইন্সটাগ্রাম লাইভে। মুশফিকুরের ইন্সটাগ্রাম পেইজ থেকে লাইভে থাকবেন তারা। এমন খবর দিয়েছেন মুশফিক নিজেই। নিজের ফেসবুক পেইজে মুশফিক ভক্ত-সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এক বিবৃতিতে লিখেন, ‘আমাকে ও তামিমকে ইন্সটাগ্রাম লাইভে দেখুন শনিবার রাত সাড়ে ১০টায়। আমার অফিসিয়াল ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল এর মাধ্যমে আপনারাও এতে যোগ দিতে পারেন।’
এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার লাইভে এসেছেন। এছাড়াও তামিম গতকাল এক ক্রীড়া সাংবাদিকের সঙ্গে লাইভ সেশনে কথা বলেছেন। তবে দুইজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার একসঙ্গে আড্ডা দেওয়ার উদ্দেশ্যে লাইভে আসা এবারই প্রথম।
তবে এদিকে সবচেয়ে এগিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। দেশটির সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা বিভিন্ন সময়ে লাইভে আসছেন একসাথে। যুবরাজ সিং, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জাসপ্রিত বুমরাহসহ প্রমুখ ক্রিকেটার থাকছেন লাইভে। এছাড়াও কেভিন পিটারসেনও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে এমন লাইভ সেশন পার করেছেন। কোহলি লাইভ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্সের সাথে। ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস লাইভ করেছেন নিউজিল্যান্ডের ইস সোধির সাথে।