ডেক্স: বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে জাহিদ হাসান (২৮) নামে এক ব্যক্তি ববিতা বেগম (২৬) নামে নারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সংসার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে জাহিদ হাসান তার স্ত্রী ও সন্তানদের অস্বীকার করছেন। আর স্বামী ও সন্তানদের পিতৃত্বের দাবি নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ববিতা।
গৃহবধূ ববিতা বেগম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১২-১৩ বছর আগে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের গারামারা গ্রামের মৃত সদরুল্লাহর ছেলে গার্মেন্টস কর্মী মো. জাহিদ হাসানের সঙ্গে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার চক সাতারি গ্রামের হুদা মন্ডলের মেয়ে গার্মেন্টস কর্মী ববিতা বেগমের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে জাহিদ হাসান ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে ববিতাকে বিয়ে করেন। এরপর ঢাকার খিলক্ষেতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন তারা। তাদের দাম্পত্য জীবনে জন্ম নেয় দুই ছেলে- পাঁচ বছর বয়সী রাসেল ও তিন বছর বয়সী হৃদয়।
জাহিদ-ববিতা দম্পতি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির শুরুতেই গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের গারামারা এলাকায় আসেন। এরপর কারণে-অকারণে স্ত্রীর ওপর শুরু হয় অমানষিক নির্যাতন। এমনকি দুই ছেলে সন্তানের পরিচয় ও বিয়ে অস্বীকার করেন জাহিদ।
এর মাঝে ববিতাকে গত বুধবার তার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ননদ মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। বর্তমানে ওই নারী স্বামীর ও সন্তানদের পিতৃত্বের পরিচয়ের দাবিতে থানায় ও স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের কাছে ঘুরছেন।
এ বিষয়ে সোনাতলার মধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার জৈন নতুন জানান, এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ তার কাছে এসে বিচার দাবি করেছেন। এ জন্য উভয়পক্ষকে ডাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী জানান, ওই গৃহবধূ এ বিষয়ে একাধিক বার থানায় এলেও লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।