ক্রীড়া ডেস্ক : চলতি বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ায় চারটি টেস্ট খেলতে যাবে ভারত।
করোনার কারণে সিরিজটি হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে সফরের সকল আলোচনা সেরে নিচ্ছে দুই বোর্ড। করোনার কারণে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞা সামনে আরও বাড়তে পারে। তবে ভারতীয় দলের জন্য বিশেষ ছাড় দেবে অস্ট্রেলিয়া সরকার। তবে শর্ত আছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের জন্য। অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখার পর দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেই শর্তে রাজীও হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া গিয়ে দুই সপ্তাহ আলাদা থাকবেন ক্রিকেটাররা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-কে তিনি বলেছেন,‘ক্রিকেট চালু করতে হলে এটা (কোয়ারেন্টাইন) করতেই হবে। কোনো কোনও বিকল্প নেই – প্রত্যেককে এটি মানতে হবে।’ যদি ‘বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি’ কোনো কারণে স্থগিত হয় তাহলে ৩০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ক্ষতি হবে। তাহলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বড়সর ধাক্কা খাবে। এ ক্ষতি এড়াতে যে করেই হোক ভারতীয় দলকে অস্ট্রেলিয়া আনতে চায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ধুমাল আরও বলেছেন,‘দুই সপ্তাহ লকডাউন থাকা অসম্ভব কিছু নয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই লকডাউন আছি। স্পোর্টসম্যান হিসেবে এটা মেনে নিতেই হবে। যেহেতু আমরা আরেকটি দেশে সফর করছি, স্বাভাবিকভাবেই আমাদেরকে সেখানকার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।’
চার ম্যাচের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রস্তাব দিয়েছিল। ভারত এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব দেয়নি। তবে ধুমাল ধারণা দিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থেকে সীমিত পরিসরের ক্রিকেট আয়োজন করাই হবে লাভজনক প্রক্রিয়া। তিনি বলেছেন,‘পাঁচ টেস্টের সিদ্ধান্ত লকডাউনের আগে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুযোগ থাকলে টেস্ট ম্যাচের পরিবর্তে দুটি ওয়ানডে আয়োজন করা যেতে পারে। এতে লকডাউনে যে ক্ষতি হয়েছে কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।এটা নিশ্চিত টেস্ট ম্যাচের থেকে বেশি লাভ করা যাবে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি আয়োজনে। এজন্য আমাদেরকে এ দিকটিও বিবেচনায় রাখা উচিত।