আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এ তথ্য জানিয়েছেন।
চলতি মাসের প্রথম দিকে লাদাখ ও সিকিমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীন ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে দুই দফা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপরই গালওয়ান উপত্যকায় বিপুল সেনা মোতায়েন করে চীন। এই সামরিক তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই নয়াদিল্লি-বেইজিং সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। ভারতেও সামরিক বাহিনীর তৎপরতা বাড়ে। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, বেইজিং আগ্রাসন বাড়ালে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।
বুধবার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডং সমঝোতার বার্তা দিয়ে বলেছেন, ভারত-চীন একে অন্যের পক্ষে বিপজ্জনক নয়। দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ কখনোই এমন পর্যায়ে যাবে না যে, তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব সীমান্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য।’
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে মধ্যস্থতার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অনুরাগ এর সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। ভারত তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আমরা চীনা পক্ষের সঙ্গে জড়িত আছি।