জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বিএনপি সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা হয়েছিল বলেই তখন রাষ্ট্রযন্ত্র নীরব ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৭ আগস্ট) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিরিজ বোমা হামলার ১৫তম বার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০০৫ সালের এ দিনে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। হামলায় দুজন নিহতসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়। এতে বিস্মিত বাংলাদেশ, বিস্মিত বিশ্ব। তখন বিএনপির হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার। দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি, নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, জনবল ও বোমা সরবরাহ এতসব একদিনে গড়ে ওঠেনি।’
‘রাষ্ট্রযন্ত্র সেদিন নীরব ছিল কেন? নিশ্চয়ই সরকার প্রশ্রয়দাতা আর পৃষ্ঠপোষক ছিল। না হয় কীভাবে এ দীর্ঘপ্রস্তুতি জঙ্গিরা নিলো। এদেশের রাজনীতিতে যেমনি ১৫ আগস্টের মাধ্যমে নির্মম হত্যাকাণ্ডের সূচনা করেছিল, তার ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। আবার ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলাও সেই আগস্ট মাসে। তাই বলবো, ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট আর ২১ আগস্ট এসব একই সূত্রে গাঁথা।’
এদেশে হত্যা, সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি উগ্র সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গিবাদকে বিএনপিই প্রশ্রয় এবং লালন পালন করে ক্যানসারে রূপান্তর করেছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
আগস্ট এলেই শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তারা প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে প্রশ্রয় দেয় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। আর এদেশের মুক্তচিন্তাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনাকে মুছে ফেলার জন্য।’
তাই আগস্ট এলে আমরা শঙ্কায় থাকি দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও সক্রিয় আছে। তারা সুযোগ খুঁজছে। শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গি গোষ্ঠীর বিষদাঁত ভেঙে দিলেও গোপনে গোপনে তাদের এখনও তাদের সক্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, বলেন কাদের।
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাই বিএনপির গাত্রদাহ মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা। উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তি এখনও আছে চারপাশে। তারা দেশের উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়াকে মেনে নিতে পারে না। উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও সুযোগ খুঁজছে। তারা শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি এতে বক্তব্য রাখেন।